সারাদেশে সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র তাণ্ডবের আশঙ্কায় সারাদেশে সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ রাখা হবে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত দেশের সব রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবেলায় বিআইডব্লিউটিএর সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

বিআইডাব্লিউটিএ'র জন সংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার বলেন, নদী বন্দরে ২ নম্বর বিপদ সংকেত থাকলে সাধারণত ৬৫ ফুটের চেয়ে ছোট সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করা হয় । উপকূলে বিপদ সংকেত জারি হওয়ায় সতর্কতার জন্য সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ বাংলাদেশের দক্ষিণ/পশ্চিমাঞ্চলীয় উকূলীয় এলাকায় দ্রুত ধেয়ে আসছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের সমুদ্র উপকুলীয় এলাকা মোংলা ও পায়রায়কে ৭ এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ঘুর্ণিঝড়টি মোংলাবন্দর থেকে ৯১৫ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিলো। এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৬৫ ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

আবহাওয়ার বিশেষ বার্তায় বলা হয় ঘুর্ণিঝড়টি আরও ঘণীভূত ও উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ৩ মে বিকাল নাগাদ ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে এবং পরবর্তীতে উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল হয়ে ওইদিন ৩ মে সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।