সড়ক নিরাপত্তায় ১০ হাজার কোটি টাকা চায় যাত্রী কল্যাণ সমিতি

সারাদেশে সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আগামী বাজেটে একটি অর্থনৈতিক কোড চালুসহ ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটি জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সরকারের নানামুখী তৎপরতা দেখা গেলেও প্রকৃতপক্ষে জাতীয় বাজেটে তার প্রতিফলন হয় না। দুর্ঘটনা প্রতিরোধ কার্যক্রমের জন্য নেই অর্থনৈতিক কোনো কোড।

সমিতির নেতারা সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চালকদের প্রশিক্ষণ, জনসচেতনতা সৃষ্টি, আক্রান্তদের উদ্ধার, চিকিৎসা সহায়তা ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা তথা ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার দাবি তুলেছে।

পঞ্চম নিরাপদ সড়ক সপ্তাহ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘নিরাপদ সড়ক: আমাদের দায়িত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এ দাবি উত্থাপন করা হয়। সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে ১৫ দফা প্রস্তাবনাও দেয়া হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান তুলে ধরে সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর সারা বিশ্বে ১২ লাখ মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। আহত হয় ২ থেকে ৫ কোটি মানুষ।

নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে হতাহতের সংখ্যা ( প্রতি লাখে যথাক্রমে ২১.৫ ও ১৯.৫ জন) উচ্চ আয়ের দেশগুলোর (১০.৩ জন) তুলনায় অনেক বেশি বলেও জানান তিনি।

মোজাম্মেল হক আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে ২০১২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ২১ হাজার ৩১৬ জন। ২০১৬ সালে নিহত হয়েছেন ২৪ হাজার ৯৫৪ জন। অর্থাৎ চার বছরের ব্যবধানে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ৬৩৮ জন।

সংগঠনের সহ-সভাপতি তাওহিদুল হক লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিলে আরও বক্তব্য দেন- বিআরটিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবদুল হক প্রমুখ।