আপনি পড়ছেন

রমজান মাসে নানা কারণেই আমাদের কিছু রোজা ভাঙ্গা পড়ে বা ভাঙ্গতে হয়। যেমন অসুস্থতা, ভ্রমণ অথবা মহিলাদের প্রাকৃতিক অসুস্থতা। অনেকের আবার পুরো রমজানে একটি রোজা রাখারও সুযোগ হয় না। গর্ভবতী মহিলা এবং অপারেশনের রোগীদের ক্ষেত্রে এমনটি বেশি হয়।

ramadan featured

এ প্রসংঙ্গে মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যদি তোমরা অসুস্থ অথবা সফরে থাক তবে অন্য দিনগুলোতে ভেঙ্গে যাওয়া রোজা কাজা করে নিবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, কঠিন করতে চান না। সুরা বাকারাহ, আয়াত : ১৮৫। তাহলে চলুন জেনে নিই, কীভাবে কাজা রোজা রাখব।

কাজা রোজা আদায়ের নিয়ম:

ইমাম দাউদ যাহেরির মতে, রমজানের রোজার মত কাজা রোজাও ধারাবাহিকভাবে রাখা আবশ্যক। তবে সঠিক কথা হল- রমজানের কাজা রোজা ধারাবাহিকভাবে অথবা সুবিধামত সময়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে রাখা যাবে। কেননা আল্লাহ তায়ালা রোজার ‘সংখ্যা পূরণ’ করতে বলেছেন; ধারাবাহিকতার শর্তারোপ করেননি।

ইমাম দারা কুতনি ইবনে ওমর (রা.) থেকে মুত্তাসিল এবং মুরসাল সনদে বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) বলছেন, ‘রমজানের কাজা রোজা বিরতিসহ রাখতে পার; ধারাবাহিকভাবেও রাখতে পার।’ কাজী সানাউল্লাহ, তাফসিরে মাজাহারি, ১ম খন্ড, ৩৬০ পৃষ্ঠা।

রমজানের রোজার কাজা তাৎক্ষনিকভাবে ওয়াজিব হয় না বরং সময়সাপেক্ষ ওয়াজিব হয়। হযরত আয়শা (রা.) বলেন, ‘রমজান মাসে আমার রোজা কাজা হত, রাসুল (সা.) এর উপস্থিতির কারণে শাবান পর্যন্ত তা কাজা করতে পারতাম না।’ সহি বুখারি, হাদিস নম্বর ১৯৫০; সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর ১১৪৬।

কাজা আদায়ে যদি এতটা বিলম্ব হয় যে, আরেক রমজান চলে এসেছে তবে রমজানের ফরজ রোজা রাখবে এবং পরে কাজা আদায় করে নেবে। এর জন্য ফিদইয়া কিংবা অন্য কিছুর প্রয়োজন নেই। এটা ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এবং হাসান বসরীর (রহ.) মত। অধিকাংশ আলেমের মতে এটাই সঠিক। সাইয়েদ সাবেক, ফিকহুস সুন্নাহ, ১ম খন্ড, ৩৮৬ পৃষ্ঠা।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর