বালিশ ওঠানোর খরচ শুনে হাসছিলেন বিচারপতিরা

আজ সোমবার দুপুরে হাইকোর্টে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আওতাধীন গ্রিন সিটি প্রকল্পের আসবাবপত্র কেনা ও ফ্লাটে ওঠানোয় অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর দেড়টার দিকে শুরু হওয়া ওই শুনানিতে খরচের বিষয়টি আদালতে তোলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন।

রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমন যখন বালিশ ও কেটলি ওঠানোর খরচের বিষয়টি যখন আদালতে উপস্থাপন করছিলেন তখন বিচারপতিরা হেসে দেন।

রিটকারী আইনজীবী জানান, ১২৫টি ফ্ল্যাটের মালামাল কিনতে ও ওঠাতে ২৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে, যা প্রত্যেক ফ্ল্যাটের জন্য খরচ পড়ে ২২ লাখ ৭০ হাজার টাকার মতো। একটি বালিশের পেছনেই ব্যয় দেখানো হয়েছে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা।

এই কথা বলার পর পুরো আদালত কক্ষেই হাসির রোল উঠে। বিচারপতিরাও ফ্ল্যাটের মালামাল কেনা ও ওঠানোর খরচ শুনে মিটি মিটি হাসতে থাকেন। আজ এ মামলার শুনানিতে উৎসুক আইনজীবীরা ভিড় করেছিলেন।

এর আগে গত রোববার (১৯ মে) গ্রিনসিটি আবাসন পল্লীর বিছানা, বালিশ, আসবারপত্র অস্বাভাবিক মূল্যে কেনা ও তা ভবনে তোলার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে একটি জাতীয় পত্রিকার অনুসন্ধানে রূপপুরের গ্রিনসিটি আবাসন পল্লীতে ১১০টি ফ্ল্যাটের আসবাবপত্র কেনা ও নিচ থেকে ফ্ল্যাটে তোলার ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়মের চিত্র উঠে আসে। এরপর থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।