বিশ্বাসই সফলতা এনে দিয়েছে জিম্বাবুয়েকে

হার হার এবং হার; জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের আলোচনার সবটুকুজুড়ে ছিলো এই একটাই শব্দ। যতো দিন যাচ্ছে, জিম্বাবুয়ে যেনো ততোই হয়ে উঠছে নিজেদের ছায়া। একটা সময় বাংলাদেশের প্রবল প্রতিপক্ষ থাকা দলটি এখন আর সে রকম নয়। আফগানিস্তানের মতো তরুণ দলও এখন তাদেরকে বলেকয়ে হারিয়ে দেয়।

এতো ব্যর্থতার পরও জিম্বাবুয়ে কখনো আশা হারায়নি। বিশ্বাসের উপরে স্থির থাকাই তাদেরকে সফলতা এনে দিলো বাংলাদেশের বিপক্ষে। বাংলাদেশের বিপক্ষে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-২ ব্যবধানে শেষ করার পর এমন কথাই বলেছেন ম্যাচসেরা ও সিরিজসেরার পুরস্কার পাওয়া হ্যামিল্টন মাসাকাদজা।

তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময়ই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। প্রথম ম্যাচটা খেলার পর আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। কারণ ওই ম্যাচে ১৬০ করেছিলাম আমরা। তখনই মনে হয়েছে আমাদের রান আরো বেশি হলো আমরা জিততে পারবো। আমাদের মিডর অর্ডার একটু পারফর্ম করলেই হতো। অবশেষে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে আমরা তা পেরেছি।’

২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার পরও এমন দাপটে জিম্বাবুয়ের ফিরে আসাটা অনেকটা অবিশ্বাস্যকর ব্যাপার। এ বিষয়ে মাসাকাদজার বক্তব্য, ‘এটা সত্যিই দুর্দান্ত ব্যাপার। সবাই যার যার জায়গা থেকে কঠিন পরিশ্রম করেছে। এটা তারই পুরস্কার।’

শেষ দুই ম্যাচে জিম্বাবুয়ে যেভাবে খেলেছে, তারা আসলে খেলতে চায় এভাবেই। ম্যাচ শেষে এই কথা বলেছেন মাসাকাদজা। তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা যেমন থাকে, শেষ দুই ম্যাচে তা প্রায় ঠিকঠাক করতে পেরেছি।’
বাংলাদেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের এমন দাপুটে পারফর্ম নিশ্চয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাদের সহায়তা করবে। কারণ বিশ্বকাপটা হবে ভারতে। সেখানকার কন্ডিশন তো বাংলাদেশের মতোই। সিরিজ ড্রয়ের হতাশা ঝেড়ে, সত্যিকার ক্রিকেটপ্রেমি বাংলাদেশিরা জিম্বাবুয়ের জন্য একটু শুভ কামনা জানাতেই পারে!

আপনি আরো পড়তে পারেন

পরীক্ষা-নিরীক্ষা ঠিক আছে, ভুল পারফর্মে

‘মুস্তাফিজ থাকলে অন্য রকম হতো’

বিশ্বকাপের আগের ছন্দ হারালো বাংলাদেশ