আপনি পড়ছেন

ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায়, রোজা হলো— নিয়তের সঙ্গে নির্ধারিত নিয়মে নির্দিষ্ট সময়ে রোজা ভেঙে যায় এমন সব কাজ থেকে বিরত থাকা। ফকিহগণ বলেন, সুবেহ সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার এবং যাবতীয় যৌন আচরণ থেকে বিরত থাকার নাম রোজা। 

download free ramadan wallpapers backgrounds images free intros free models and png by mtc

ইসলামী শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক সকল মুসলিমের ওপর রোজা রাখা ফরজ হলেও বিশেষ কয়েকটি অবস্থায় রোজা না রাখারও অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে এসব কারণে রোজা ছাড়লেও পরে তা কাজা করতে হবে।
যে ৫ কারণে রমজানে রোজা না রাখার অনুমতি রয়েছে, আসুন সে কারণগুলো জেনে নিই-

১. সফর: যদি কেউ সফরে থাকে তা হলে তার জন্য রোজা না রাখার অনুমতি রয়েছে; তবে তা পরে কাজা করে নিতে হবে। কিন্তু সফরে যদি কষ্ট না হয়, তা হলে রোজা রাখাই ভালো। আর যদি কোনো ব্যক্তি রোজা রাখার নিয়ত করার পর সফর শুরু করেন, তা হলে সে দিনের রোজা রাখতে হবে বলে মত দিয়েছেন আইনবিশেষজ্ঞরা।

২. রোগী: অসুস্থ রোগী রোজা রাখলে যদি রোগ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে বা অন্য কোনো নতুন রোগ দেখা দিতে পারে বলে মনে হয় অথবা রোজা রাখার কারণে সুস্থ হতে দেরি হতে পারে, তা হলে এমন ব্যক্তির রোজা না রাখার অনুমতি আছে। তবে সুস্থ হওয়ার পর রোজাগুলো কাজা করে নিতে হবে। রোজা ছাড়তে হলে কোনো অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অথবা নিজের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। শুধু কাল্পনিক খেয়ালের বশীভূত হয়ে আশঙ্কাবোধ করে রোজা ছাড়া জায়েজ হবে না। এভাবে রোজা না রাখলে কাজা ও কাফফারা দুটোই ওয়াজিব হবে।

৩. রোগের শঙ্কা: রোজা রাখার কারণে যদি কোনো দুরারোগ্য ব্যাধির শঙ্কা দেখা দেয়, কিংবা পুরোনো কোনো রোগ নতুন করে দেখা দিতে পারে বা বাড়তে পারে বলে মনে হয়, এমন পরিস্থিতিতে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শের আলোকে রোজা না রাখার অনুমতি শরীয়ত দিয়েছে। এক্ষেত্রে রোগী যদি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে সুস্থ হলে রোজা কাজা করে নেবে। নতুবা ফিদয়া দিয়ে দেবে।

৪. গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারী: গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারী রোজা রাখলে যদি নিজের জীবনের ব্যাপারে বা সন্তানের জীবনের ব্যাপারে কোনো ক্ষতির ভয় থাকে বা রোজা রাখলে দুধ শুকিয়ে যাবে আর সন্তানের কষ্ট হবে- এমনটি নিশ্চিত হলেও তার জন্য রোজা ছাড়া জায়েজ। রাখতে না পারা রোজাগুলো পরে কাজা করে নিতে হবে।

৫. নারীদের প্রাকৃতির স্রাব: নারীদের প্রাকৃতির স্রাব কারণে রোজা ছেড়ে দিতে হবে এবং পবিত্র হওয়ার পর কাজা করে নিতে হবে। এ সময় রোজা রাখা হারাম। 

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর