আবারও গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব

গ্যাসের দাম নতুন করে বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যেই এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, বাসাবাড়ি ও আবাসিক ক্ষেত্রগুলোতে জ্বালানী গ্যাস ব্যবহারে সকলকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এজন্য একটি বড় প্রকল্প হাতে নিচ্ছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের যেসব জায়গায় গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে, সেসব জায়গায় পুরাতন গ্যাস লাইন তুলে নতুন করে লাইন স্থাপন ও শতভাগ বাসাবাড়িতে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন। এই কাজে সহযোগিতা করার জন্য জাইকার কাছেও আবেদন করা হয়েছে।

গ্যাসের দাম সমন্বয়ের ব্যপারে তিনি বলেন, গ্যাসের দামটা দ্রুত সমন্বয় করা দরকার। এর জন্য গত বছর থেকে অপেক্ষা করে আছেন তারা। দাম সমন্বয়ের বিষয়টি বিইআরসি'র কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। এখন বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে বিইআরসি কর্তৃপক্ষের ওপর।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, শিল্পক্ষেত্র ও বাসাবাড়ি উভয়ক্ষেত্রেই জ্বালানী গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। কিছুটা সমন্বয় সব জায়গাতেই দরকার। কারণ গত বছরের আগস্ট থেকে দেশে এলএনজি আমদানি করা শুরু হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে বাড়ানো হয়েছে ১০০ এমএমসিএফ ও ২০০ এমএমসিএফ। কিন্তু নিজস্ব গ্যাসের চেয়ে এই গ্যাসের দাম অনেক বেশি। নিজস্ব গ্যাসের ওপর সরকার বছরে ৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে গ্যাস খাতে। সামনে আবার একই পরিমাণ টাকা লাগবে। দেশের গ্রাহকরা বর্তমানে গ্যাসের যে মূল্য দেয়, তাতে সেই ব্যয় উঠে না। তাই গ্যাসের দামের সমন্বয় করা দরকার। তা না হলে চলতি অর্থবছরেই সরকারকে ৫-৬ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে।