আপনি পড়ছেন

জান্নাতের বিশালতা সম্পর্কে ওয়ায়েজ, খতিব ও ইমামদের মুখে আমরা প্রায়ই বিভিন্ন বর্ণনা শুনে থাকি। কেউ বলেন, দ্রুতগামী ঘোড়ায় করে হাজার হাজার বছর দৌড়ালেও জান্নাতের কুল-কিনারা পাওয়া যাবে না। কেউ বলেন, ফেরেশতা জিবরাঈলেরও জান্নাতের এ পাশ থেকে ওপাশে যেতে হাজার হাজার বছর লাগবে। আসলে জান্নাত কতো বড় হবে?

zannat 2018 04 23 23 36 08

জান্নাত এতো বড় হলে জান্নাতিরা কিভাবে জান্নাতের সৌন্দর্য ও নিয়ামতরাজি উপভোগ করবে? আসুন জেনে নিই জান্নাতের বিশালতা সম্পর্কে।

জান্নাতের বিশালতা সম্পর্কে বিভিন্ন সহিহ, জয়িফ ও মওজু হাদিস রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন কল্পকাহিনীও প্রচলিত রয়েছে। জান্নাতের বিশালতা ও প্রশস্ততা সম্পর্কে কোরআনুল করিমের নিম্নোক্ত আয়াতটি জানা থাকলে জান্নাত সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবো আমরা।

জান্নাতের প্রশস্ততা সম্পর্কে কুরআনুল করিমের বক্তব্য সুস্পষ্ট। মহান আল্লাহ বলেন-

‘ওয়া সারিউ ইলা মাগফিরাতিম মিররাব্বিকুম ওয়া জান্নাতিন আরদুহাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি, উয়িদ্দাত লিল মুত্তাকিন।

অর্থ: তোমরা দৌড়ে এসো তোমাদের প্রভুর ক্ষমার চাদরের নিচে আর সেই জান্নাতের দিকে- যার প্রশস্ততা মহাকাশ আর এই পৃথিবীব্যাপী। আর জেনে রাখো, এ জান্নাত আমি প্রস্তুত রেখেছি মুত্তাকিদের জন্যে।’ সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৩৩।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, এত বড় জান্নাত একজন মানুষের পক্ষে কীভাবে উপভোগ করা কিংবা ঘুরে বেড়ানো সম্ভব হবে। এর উত্তরে উলামায়ে কেরাম বলেন, মহান আল্লাহ যাকে যতটা বড় ও প্রশস্ত জান্নাত এবং উপভোগ্য সামগ্রী দেবেন, তাকে তা পরিপূর্ণরূপে উপভোগ করারও শক্তি সামর্থ্য দিয়ে দেবেন। এতে কোনো মুমিনের কোনো ধরনের সন্দেহ থাকার সুযোগ নেই। আল্লাহ তায়ালা আমাদের বোঝার তাওফিক দিন। আমিন।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর