এতিমদের নিয়ে শেখ তন্ময়ের জন্মদিন পালন

শনিবার, ২৯ শে জুন ছিল বাগেরহাট-২ এর সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়ের ৩২তম জন্মদিন। দিনটি উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে দোয়া মাহফিল ও জন্মদিনের কেক কাটেন ঢাকাস্থ বাগেরহাটের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের সদস্যবৃন্দ।

শেখ তন্ময়ের জন্মদিনের আনন্দ শতাধিক এতিমের সঙ্গে ভাগ করে নেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা। জন্মদিন উপলক্ষে এতিম শিশুদের মধ্যে বিশেষ খাবার ও কেক বিতরণ করা হয়। দোয়া মাহফিলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট যারা শহীদ হন তাদের আত্নার মাগফেরাত এবং বর্তমান সরকারের সাফল্য কামনা করা হয়।

জন্মদিন অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পলাশ বাছার বলেন, 'দেশের তরুণ রাজনীতিবিদদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় আমাদের বাগেরহাটসহ বাংলাদেশের গর্ব শেখ সারহান নাসের তন্ময় ভাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে সোনার বাংলা বিনির্মানের কাজ চলছে তাতে অগ্র সৈনিক এই শেখ তন্ময়। ইতোমধ্যে যিনি সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক রাজনীতি করে ব্যাপক আলোচনায় এসেছেন।'

তিনি বলেন, 'আমাদের মতো তরুণদের জন্য আদর্শ শেখ তন্ময়। প্রিয় নেতার জন্মদিন আমরা ঢাকাস্থ বাগেরহাটের ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের কর্মীরা এতিমদের সঙ্গে নিয়ে উদযাপন করেছি। ব্যস্ততার কারণে ভাই উপস্থিত হতে পারেননি। তবে ভিডিও কলে তিনি জন্মদিনের আনন্দ এতিম শিশুদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি সামনের দিনগুলোতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে দেশের জন্য যেন ভালো কিছু করতে পারেন সেজন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।'

সাম্প্রতিক সময়গুলোতে সুদর্শন চেহারা, হাস্যোজ্জ্বল মুখ, সুবক্তা হিসেবে সবার দৃষ্টি কাড়তে সমর্থ হয়েছেন শেখ সারহান নাসের তন্ময়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে সংসদ সদস্য (এমপি) শেখ হেলাল উদ্দীনের একমাত্র ছেলে তিনি। শেখ তন্ময় ১৯৮৭ সালের ২৯ জুন জন্মগ্রহণ করেন। মাতার নাম শেখ রুপা চৌধুরী। তিনি লন্ডন থেকে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেছেন। ২০১৫ সালে শেখ ইফরারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন শেখ তন্ময়। সর্বশেষ তিনি ২০১৮ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে বাগেরহাট-২ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক এইচ এম মিজানুর রহমান জনি, আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম আর জামিল হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এফ এম শরিফুল ইসলাম, বাংলা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদ মাহমুদ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের পিএস আমিনুল ইসলাম পলাশ।

এছাড়াও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিফ তালুকদার, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আকবর শিমুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিবাস মজুমদার, বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওশান সরকার, মাসুম, নাহিদ, অণুসহ ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান কয়েকশত নেতাকর্মী জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।