হলি আর্টিজান হামলার তিন বছর আজ

আজ থেকে তিন বছর আগে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ এক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের ওই হামলায় ১৮ বিদেশী নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। বাংলাদেশের ইতিহাসে ওটাই ছিলো সবচেয়ে ভয়াবহ ও নৃশংস জঙ্গি হামলার ঘটনা।

আজ সোমবার ওই ঘটনার তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে বাংলাদেশের বিদেশি বন্ধুসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ নিহতদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন।

ভয়াবহ ওই রাতে জঙ্গিরা রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করে ২০ বিদেশি নাগরিকসহ ৩০ থেকে ৩৫ জনকে জিম্মি করে রাখে এবং রাতভর হত্যাযজ্ঞ চালায়। জিম্মিদের মধ্যে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন ২০ জন। তাদের মধ্যে দু’জন বাংলাদেশি, ১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান, ৯ জন ইতালিয়ান, ৭ জন জাপানি ও ১ জন ভারতীয় নাগরিক ছিলেন।

ওই রাতেই জঙ্গিদের সঙ্গে গোলাগুলিতে ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন খান নিহত হন।

পরদিন সকালে রেস্তোরায় জিম্মিদের উদ্ধারে কমান্ডো অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। ওই অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত হয়। তারা হলেন- নিবরাস ইসলাম, মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।

‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ নামের ওই কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে ২২ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস জিম্মি নাটকের অবসান ঘটেছিল। ওই ঘটনা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনামে তুলে নিয়ে আসে। আলোড়ন সৃষ্টি হয় বিশ্বজুড়ে।

ওই ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা হয়, সেটির তদন্ত শেষে অভিযোগপত্রও দিয়েছে পুলিশ। মামলার চার্জশিটে জীবিত আট জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

তারা হলেন- আব্দুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ, হাদীসুর রহমান সাগর, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলামুল ইসলাম ওরফে রাশেদ ওরফে র‌্যাশ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, মামুনুর রশিদ রিপন ও শরীফুল ইসলাম খালিদ।