তৃণমূল সম্মেলনে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করছে আ. লীগ!

জাতীয় ত্রিবার্ষিক ২১তম সম্মেলনের জোর প্রস্তুতি চলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে। আগামী অক্টোবরের শেষ দিকে এ সম্মেলন করার পরিকল্পনা নিয়ে সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়িয়েছে দলটি। এর অংশ হিসেবে তৃণমূলে তিন বছরের বদলে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়া কমিটিগুলো সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন করে গঠন করতে চিঠি দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এ সিদ্ধান্তকে দলীয় গঠনতন্ত্রের লঙ্ঘন বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতারা।

আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে, দলটির সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলন হয় ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোব। দলীয় গঠনতন্ত্রে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব সাংগঠনিক (জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড) কমিটির মেয়াদ তিন বছর। সে হিসাবে বর্তমান কমিটির তিন বছর মেয়াদ ২৩ অক্টোবর শেষ হচ্ছে। এর আগেই দলটির তৃণমূলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোর সম্মেলন করার নিয়ম রয়েছে।

তবে তিন বছর নয়, পাঁচ বছর উত্তীর্ণ হওয়া তৃণমূল কমিটিগুলোর সম্মেলন করতে কেন্দ্র থেকে চিঠি দিয়েছে আওয়ামী লীগ, দেয়া হয়েছে মৌখিক নির্দেশনাও। এ চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে পাঁচ বছর মেয়াযোত্তীর্ণ সাংগঠনিক কমিটিগুলোর সম্মেলন শেষ করতে হবে। সেইসঙ্গে পাঁচ বছর পূর্ণ হয়নি- এমন ইউনিটের কমিটি এখন না করলেও হবে বলে চিঠিতে জানানো হয়। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল আওয়ামী লীগ।

এ ক্ষেত্রে দলীয় গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করা হয়েছে- এমন অভিযোগ করে তৃণমূল নেতারা বলছেন, কেবলমাত্র পাঁচ বছরের বেশি হওয়া কমিটিগুলোর সম্মেলন করতে বলা হয়েছে, যা আগে কখনো ঘটেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্তত পাঁচজন নেতা টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপারকে বলেন, তৃণমূলে অনেক কমিটির সম্মেলন শেষ করা সম্ভব না হলেও ২০০৯ সাল থেকে নিয়মিত কেন্দ্রীয় সম্মেলন করছে আওয়ামী লীগ। এবার কেন গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে কেবল পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়া কমিটির ক্ষেত্রে সম্মেলন করতে বলা হলো, তা বুঝতে পারছি না।

এ বিষয়ে টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপার জানতে চাইলে ‘অবগত নন’ বলে এড়িয়ে গেছেন আওয়ামী লীগের দুইজন সভাপতিমন্ডলীর ও সম্পাদকমণ্ডলীর তিনজন সদস্য। তবে তৃণমূলে এ ধরনের একটি বার্তা গেছে, এ কথা স্বীকার করেছেন তারা।