ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে অগ্নিকাণ্ড, ভেতরে ছিল ২ হাজার শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। তবে আগুন লাগার ১৫ মিনিটের মাথায় তা নেভাতে সক্ষম হন কর্মকর্তা-শিক্ষার্থীরা। এতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বিশাল সংগ্রহের এ গ্রন্থাগারটি।

ঢাবির গ্রন্থাগারে আগুন

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় গ্রন্থাগার ভবনের নিচতলায় সার্কিট বোর্ড থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়, পরে সেখানকার এসির তারও পুড়ে যায়। একই সময় এবং একইভাবে গ্রন্থাগারের ৩ তলায়ও আগুন লাগে।

আগুন দেখার পরই গ্রন্থাগান কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের সাহায্যে নেভানোর চেষ্টা চালান। অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে গাড়ি আসতে ২৫ মিনিট দেরি হয়। ততক্ষণে আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

এ ঘটনায় গ্রন্থাগারের ভেতরে অবস্থানরত প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী-কর্মকর্তার মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত বের হওয়ার ইমার্জেন্সি এক্সিট পর্যাপ্ত না থাকায় আতঙ্কের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।

ঘটনাস্থল থেকে ঢাবি শিক্ষার্থী সাইফুল আলম জানান, আগুন লাগার সময় গ্রন্থাগারের ভেতরে দু'হাজারে মতো শিক্ষার্থী ছিলেন। দুটি সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত নামতে গিয়ে জটলা তৈরি হয়। এর মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে আমরা সবাই রক্ষা পেয়েছি। অগ্নিঝুঁকি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক ‍ড. এস. এম. জাবেদ আহমদ টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপারকে বলেন, ‘শর্ট-সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে, দ্রুতই আমরা তা নেভাতে সক্ষম হয়েছি। এটি কোনো বড় ধরনের ঘটনা নয়, তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি। তাছাড়া আমাদের দুটি ইমার্জেন্সি এক্সিট গেট রয়েছে, শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হয়নি।’