আপনি পড়ছেন

দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে ঐশীগ্রন্থ কুরআনুল কারিমের সেবা করে যাচ্ছেন মিসরের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শায়খ হাসিনা আহমেদ মোহাম্মাদিন আব্দুল ফাত্তাহ আল-রাবিয়ি। একদম বাল্যকালেই দৃষ্টিশক্তি হারানো এই নারী ১০ বছর বয়সে কুরআন শেখা শুরু করেন। একসময় শুনে শুনে পুরো কুরআন মুখস্থ করেন তিনি।

hasina ahmed

হাসিনা আহমেদের বাড়ি মিসরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর দিকিরনিসে। ছোটবেলা থেকেই চোখে দেখতেন না। কিন্তু এটা তার জীবনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।

চোখে দেখতে না পাওয়াটাকেই একসময় নিজের জন্য আশীর্বাদ মেনে নিলেন হাসিনা আহমেদ। সেদিন থেকেই অন্য কোনো দিকে মনোযোগ না দিয়ে একমাত্র কুরআনের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দিলেন।

hasina

শিশু বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারানোর পর তিনি অন্তরে কুরআন শেখার প্রবল আগ্রহ লাভ করেন। একসময় তিনি মনস্থির করেন যে, কুরআন মুখস্থ করবেন। কিন্তু তিনি তো চোখে দেখেন না। তাই অন্যের মুখে শুনে শুনে কুরআন মুখস্থ করা শুরু করলেন হাসিনা আহমেদ।

একসময় পুরো কুরআন মুখস্থ হয়ে গেলো তার। সেই দিন থেকেই নিজের জীবনকে কুরআনের প্রতি বিলিয়ে দিলেন। এরপর তিনি অন্যদের কুরআন মুখস্থ করানোর কাজে নিয়োজিত হলেন।

স্থানীয় ৫০টি গ্রামে দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে স্থানীয় শিশুদের পবিত্র কুরআনুল কারিম শেখানো ও মুখস্থ করাচ্ছেন হাসিনা আহমেদ। ২০ বছর বয়সেই মক্তব খুলেছিলেন। এরপর দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে এ খেদমতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।

এখনও এই বয়সে দৈনিক তিনি ৬ পারা করে তেলাওয়াত করেন তিনি। প্রতি পাঁচ দিনে তার কুরআন খতম সম্পন্ন হয়। হাসিনা আহমেদের বর্তমান শেষ ইচ্ছা তিনি তার ভাইয়ের সঙ্গে পবিত্র হজব্রত পালন করবেন।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর