আপনি পড়ছেন

কোরবানি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। ১০ জিলহজ সূর্যোদয়ের পর থেকে ১৩ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত যেকোনো সময় নিসাব পরিমান সম্পদের মালিক প্রত্যেক নারী ও পুরুষের ওপর কোরবানি করা আবশ্যক। কোরবানি সহিহ হওয়ার জন্য নিয়ত শর্ত। আর নিয়ত মুখে বলা জরুরি নয়। তেমনি আরবি ভাষায় নিয়ত করারও প্রয়োজন নেই। তবে কোরবানির পশু জবাইয়ের সময় মুখে আল্লাহর নাম নেয়া আবশ্যক। 

qurbani

পশু জবাইয়ের সময় কেবলামুখী করে নেয়া ভালো। জবাইয়ের সময় অবশ্যই ‘বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার বলতে হবে। এর আগে পবিত্র কোরআনের এ দুটি আয়াত একসঙ্গে পড়া মুস্তাহাব। চাইলে আয়াতের বাংলায় অর্থও বলা যাবে। আবার ভাবার্থও মনে মনে আওড়ানো যাবে।

আয়াত দুটি হলো- ‘ইন্নি ওয়াজজাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাজি ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি আলা মিল্লাতি ইবরাহিমা হানিফা। ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকিন।

অর্থ: আমি সব দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে ইবরাহিমের তরিকার ওপর একনিষ্ট হয়ে মহান প্রভুর প্রতি মনোনিবেশ করছি, যিনি আকাশ ও জমিনের সব কিছুর একমাত্র মালিক। আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত নই।

ইন্নাসালাতি ওয়া নুসকি ওয়া মাহয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। লা শারিকালাকা ওয়া উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমিন। আল্লাহুম্মা লাকা ওয়া মিনকা।

অর্থ: আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ সবকিছুই বিশ্বপ্রতিপালক মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য। তাঁর কোনো শরিক নেই। আমাকে এমনটিই আদেশ করা হয়েছে। আর আমি সমর্পিতদের অন্তর্ভূক্ত। হে আল্লাহ! এ কোরবানি তোমার জন্য। আর তুমিই এটি দিয়েছো।

তারপর ‘বিসমিল্লাহ আল্লাহুআকবার’ বলে কোরবানি করবে।

উপরের বড় দোয়াগুলো পড়া ভালো তবে আবশ্যক নয়। কিন্তু বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার বলা আবশ্যক। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘ফাকুলু মিম্মা জুকিরাস মুল্লাহি আলাইহি। অর্থ: যে পশুর ওপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়েছে, তা থেকে তোমরা খাও।’ সূরা আনআম, আয়াত : ১১৮।

আসান ফেকাহ, দ্বিতীয় খন্ড, কোরবানি অধ্যায় থেকে নেয়া।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর