আপনি পড়ছেন

পাপ-পূণ্যের বিচার শেষে একদল মানুষ জান্নাতে যাবে। আরেকদল মানুষ যাবে জাহান্নামে। হাদিস শরিফে জাহান্নামের দুয়ার থেকে আল্লাহর ক্ষমা পেয়ে জান্নাতে যাওয়ার বিভিন্ন ঘটনা পাওয়া যায়। একইভাবে একদল পাপী জান্নাতের দরজায় এসেও জাহান্নামে ফিরে যাওয়ার বর্ণনা হাদিসে এসেছে। হজরত আলীকে (রা.) দেয়া এক উপদেশে নবীজি (সা.) বলেছেন, ৩ শ্রেণির মানুষের কপালে এমন শাস্তি জুটবে। আসুন! জেনে নিই, কারা সেই চরম হতভাগ্য মানুষ!

jahannam

নবীজি (সা.) হজরত আলীকে দেয়া একান্ত উপদেশে বলেন, হে আলী! কেয়ামতের দিন একদল পাপিষ্ঠকে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতি বলে ঘোষণা করবেন। এতে করে হাশরের মাঠের সবাই খুব অবাক হবে। জান্নাতি-জাহান্নামি সবাই তাদেরকে দেখে ঈর্ষা করবে। তারা নিজেরাও এমন দুর্লভ সৌভাগ্যের কারণে আনন্দে আত্মহারা হয়ে জান্নাতের দিকে ছুটে চলবে।

পুলসিরাত পার হয়ে তারা জান্নাতের দরজায় এসে দাঁড়াবে। জান্নাতের মৌ মৌ গন্ধে তাদের হৃদয়-মন ভরে ওঠবে। ততক্ষণে তাদের মন জান্নাতের ঝর্ণায় ছুটোছুটি শুরু করে দিয়েছে। ঠিক এমন সময় জাহান্নামের আগুনের ঝটকা এসে তাদেরকে ঘিরে ফেলবে। ফেরেশতারা শিকল দিয়ে তাদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলবে।

হঠাৎ এভাবে আটকা পড়ায় তারা খুব ভয় পেয়ে যাবে। কোনো ভুল হয়ে যাচ্ছে না তো- নিজেকেই নিজেরা প্রশ্ন করবে। এমন সময় আল্লহর পক্ষ থেকে জবাব আসবে, না। কোনো ভুল হচ্ছে না। তোমরা আসলে জাহান্নামেরই অধিবাসী। এতক্ষণ তোমাদের সঙ্গে উপহাস করা হয়েছে মাত্র। এটাও শাস্তিরই অংশ।

তারপর নবীজি (সা.) বলেন, হে আলী! এদের সঙ্গে আল্লাহ তায়ালা কেনো উপহাস করেছে জনো? এরা ৩ ধরনের পাপে লিপ্ত ছিলো।

১. এদের জীবিকার উৎস ছিলো হারাম।

২. এরা জীবনভর পাপের সমুদ্রে ডুবে ছিলো।

৩. আর খোদাদ্রোহিতায় এরা ছিলো সমসায়িকদের চেয়ে এগিয়ে।

তাই হে আলী! প্রভুর শাস্তি থেকে বাঁচতে চাইলে হালাল রুজি, সৎ জীবনযাপন এবং খোদার অনুগত বান্দা হয়ে চলো। আশা করা যায়, প্রভু তোমাকে তার রহমতের চাদরে জড়িয়ে নেবেন।

আল্লামা আবুল ফজল আবদুর রহমান সুয়ুতির বিখ্যাত গ্রন্থ ওয়াসিয়্যাতুন নবী (সা.) থেকে নেয়া।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর