স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: শহরগুলোকে নিরাপদ রাখবে ‘সেফ সিটি প্রজেক্ট’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোকে অপরাধমুক্ত ও নিরাপদ করতে শিগগিরই সেফ সিটি প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিজিটাল সেবা বাস্তবায়নে সঠিক পরিকল্পনা ও আগামী সম্ভাবনা নিয়ে পর্যালাচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রকল্পের আওতায় শুধুমাত্র ঢাকার প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে প্রায় ১৪ থেকে ১৬ হাজার উন্নত প্রযুক্তির সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। অপরাধীদের তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) থাকা ছবির মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে।’

তিনি বলেন, এই প্রজেক্টের আওতায় প্রথমে ঢাকাকে, পরে চট্টগ্রাম ও অন্যান্য শহরকে আনা হবে।

কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ট্রাফিক সিস্টেম কন্ট্রোল করে যানজট নিরসন করা হবে। সেইসঙ্গে যেসব গাড়ি ট্রাফিক নিয়ম অমান্য করবে তা এই ক্যামেরাগুলো দিয়ে শনাক্ত করা হবে।

‘ক্যামেরাগুলো অপরাধীদের শনাক্ত করতে ব্যবহার করা হবে এবং যা দেখে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীদের অবস্থান জানতে পারবে,’ যোগ করেন তিনি।

অনলাইনে জিডি দাখিল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, জনগণ এখন থেকে অনলাইনে যে কোনো থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে পারবেন। এজন্য এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন এবং ময়মনসিংহে এই পদ্ধতি চালু করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে এটি সারাদেশে চালু করা হবে।

অনলাইনে পুলিশ ভেরিফিকেশন

পুলিশ ভেরিফিকেশন থেকে শুরু করে সকল সেবা অনলাইনের মাধ্যমে প্রদানের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি থানা যাতে অনলাইনের আওতায় চলে আসে সেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এটি চালু হয়ে গেলে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য লম্বা সময় ধরে অপেক্ষা করতে হবে না বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

কারাগারে থেকেই স্বজনদের সাথে কথা বলার সুযোগ

সাংবাদিকদের সাথে কথা আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা জানেন আমরা পরীক্ষামূলকভাবে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে ‘স্বজন’ নামের একটি প্রকল্প চালু করেছি। এর ফলে কারাবন্দীরা কারাগারের ভেতরে থেকেই তাদের স্বজনদের সাথে সরাসরি ফোনে কথা বলতে পারেন। এর ফলে কারাগারটিতে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৮০ শতাংশ।

হটলাইন ৯৯৯

‘৯৯৯ সার্ভিস’ টিকে কীভাবে আরও জনবান্ধব করা যায় এবং কীভাবে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কাছে সেবাটি পৌঁছে দেয়া যায় সেজন্য অতিরিক্ত সচিবকে (পুলিশ) প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সিকিউরিটি সার্ভিস ডিভিশনের একজন যুগ্মসচিব, পুলিশের প্রতিনিধি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সমন্বয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।