‘ক্যাশিয়ার’ কাজী আনিস বাদ, ওমর ফারুক চৌধুরীর ভাগ্যে কী আছে?

যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ‘ক্যাশিয়ার’ হিসেবে পরিচিত পিয়ন থেকে দপ্তর সম্পাদক বনে যাওয়া কাজী আনিসকে গতকাল শুক্রবার সংগঠনটির প্রেসিডেয়ামের সভায় বহিষ্কার করা হয়। গত তিন সপ্তাহ ধরে সংগঠন থেকে দূরে থাকা ওমর ফারুক চৌধুরী যুবলীগের সর্বোচ্চ এই সভায় উপস্থিত হননি।

ওমর ফারুক ও কাজী আনিস

বিতর্কিত ভূমিকার কারণে সমালোচিত এই নেতাকে নিয়ে যুবলীগও বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কেউ মুখ না খুললেও বিকল্প কাউকে দায়িত্ব দিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে দ্বারস্থ হচ্ছেন সংগঠনটির নেতারা।

গতকালের কাজী আনিসুর রহমানকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। সংগঠনটির চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত আনিসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, চাঁদাবাজি ও অবৈধ পথে সম্পদ গড়ে তোলাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, যুবলীগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যসহ বিভিন্নভাবে টাকা উপার্জনের অভিযোগ রয়েছে। এ কাজে তার ঘনিষ্ট সহযোগী দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিস। এ কারণেই তাকে ওমর ফারুক চৌধুরীর ‘ক্যাশিয়ার’ বলা হয়। ক্যাসিনো ও টেন্ডারবাজিসহ নানা অপকর্মে তাদের নাম রয়েছে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে গা ঢাকা দেন কাজী আনিস। তার অবৈধ সম্পদের সংবাদ গণমাধ্যমে আসার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। চলমান এ অভিযানে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, জি কে শামীম, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও আরমানসহ বেশ কয়েকজন যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন।

কয়েকদিন আগে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এবং তার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। এরপর থেকে তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তিনি দেশে থাকলেও কোথায় অবস্থান করছেন তা কেউ বলতে পারছেন না। ফলে যুবলীগের আলোচিত এই নেতাকে নিয়ে এক ধরনের শোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, ওমর ফারুক চৌধুরী আমাদের সংগঠনের চেয়ারম্যান, তার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা সভাপতিমণ্ডলীর নেই। আরও কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়নি। এ সব বিষয়ে শেখ হাসিনার দ্বারস্থ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন সংগঠনটির তিনজন প্রেসিডিয়াম সদস্য।