আপনি পড়ছেন

পৃথিবীতে হাজারো রং রয়েছে, তার পরও বিশ্বজুড়ে পাসপোর্ট হয় মাত্র চার রঙের। যেকোনো দেশের পাসপোর্টের রং হয় কালো, নীল, সবুজ অথবা লাল রঙের। কেন জানেন?

world passport

কোনো দেশের পাসপোর্টের রং কী হবে, তার নির্দিষ্ট কোনো নির্দেশিকা নেই। যেকোনো দেশ যেকোনো রঙের পাসপোর্ট তৈরি করতে পারে। তবুও কেবল কালো, নীল, সবুজ ও লালের বিভিন্ন শেডের পাসপোর্টই হয়।

এই চার রঙের পাসপোর্ট হওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। সেগুলো হলো- এই রংগুলি গাঢ়, তাই পাসপোর্ট ময়লা হলেও তা সহজে চোখে পড়ে না। এই রঙের পাসপোর্টগুলি বেশি অফিসিয়াল দেখায়, তাই গোলাপির মতো রং দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি হয় না।

এই চার রঙের মধ্য থেকে কোন দেশ কোন রং বেছে নেবে তা সেই দেশের ওপরই নির্ভর করে। কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে এই রং বাছাই হয়। যেমন- বেশিরভাগ মুসলিম দেশ সবুজ রঙের পাসপোর্ট ব্যবহার করে। এ ছাড়াও সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে বিভিন্ন দেশ তাদের পাসপোর্টের রং নির্ধারণ করে। যেমন- লাল রঙের বিভিন্ন শেডের পাসপোর্ট ব্যবহার করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলো।

আবার ভারতে সাধারণ মানুষের জন্য গাঢ় নীল রঙের পাসপোর্ট তৈরি হয়। যদিও দেশটির কূটনৈতিক পাসপোর্টের রং লাল।

রঙের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকলেও পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, পাসপোর্ট এমন উপাদানে তৈরি করতে হবে, যাতে ভাঁজ হলে কিংবা কোনো রাসায়নিকের প্রভাবে সহজে নষ্ট না হয়। এমনকি অতিরিক্ত আর্দ্রতা, তাপমাত্রা বা আলোর প্রভাবে খারাপ না হয়ে যায়, সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়।

অনলাইন ম্যাগাজিন ‘মেন্টাল ফ্লস’-এর মতে, ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও) পাসপোর্টের ছাপার অক্ষরগুলির টাইফেস, সাইজ, ফন্ট কী হবে তা নিয়ে একটি সুপারিশ দিয়েছিল।