আপনি পড়ছেন

‘থাকার জন্য জায়গা চাই, গণরুমে ঠাঁই নাই’, ‘গণরুমের বঞ্চনা মানি না মানব না’ স্লোগানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সকালে উপাচার্য ভবনে প্রবেশে বাঁধা দেয়ায় ভবনের গেটেই বসে পড়েন আন্দোনকারীরা।

hall seat1গণরুম সমস্যার সমাধানের দাবিতে উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা

ডাকসু সদস্য তানভীর হাসান সৈকতের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীরা বেলা পৌনে ১১টার দিকে ভিসির বাসভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা তাদের বাধা দেন। পরে ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে তারা ক্যাম্পাসে ভিসির বাসভবনের সামনে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান নেন।

সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তানভীর বলেন, ‘২৮ বছর পর ডাকসুর নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের মনে আশা জেগেছিলো যে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আবাসন সঙ্কট নিরিসন করবেন। কিন্তু সেটা না করতে পেরে সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখে আমি গণরুমে উঠেছি।'

সাংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানান, ‘আবাসন সংকট সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুরোপুরি ব্যর্থ। আসলে তারা সমস্যা সমাধান করতে চান না। এ কারণেই কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেননি।’

এসময় তিনি আরো বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হলে তারা হল থেকে অবৈধ দখলদারদের বের করে দিত এবং আমাদের এখানে আসার প্রয়োজন হত না।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে ডাকসুর সদস্য সৈকতসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী উপাচার্য ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় উপাচার্য বাসায় নেই বলে তাদের প্রবেশে বাধা দেয় প্রক্টরিয়াল টিম। পরে বাসভবনের সামনেই কাঁথা, তোষক, বালিশ, কম্বল নিয়ে বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা।

এর আগে গত ১ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা আবাসন সংকট নিরসনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে ১৫ দিনের আলটিমেটাম দেয়। এর মধ্যে আবাসন সমস্যার সমাধান না হলে শিক্ষার্থীরা ঢাবি উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনে অবস্থান নেবেন বলে ঘোষণা দেন।

সহকারী প্রক্টর আবদুর রহিম বলেন, এ সমস্যার সমাধান একদিনে করা যাবে না। শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য দাবি জানাতেই পারেন। শিক্ষার্থীদের সাথে তিনি কথা বললেও তারা  শোনেননি। শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চাচ্ছেন। কিন্তু ভিসি একটি অনুষ্ঠানে থাকায় এখন পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।

ভিসির বাসভবনের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সকালে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণে আসেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান। তিনি জানান, এ বিষয়ে যা বলার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই বলবে। তারা শুধু পরিস্থিতি নজরে রাখছেন।