জুয়াড়ির সঙ্গে কী কথা হয়েছিল সাকিবের?

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে কর্তৃপক্ষকে না জানানোর দায়ে এক বছরের মওকুফ আদেশসহ সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় চলছে বিশ্ব ক্রিকেটাঙ্গনে। সাকিবকে এখন শাস্তির মুখোমুখি হতে হলেও ম্যাচ ফিক্সারের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়েছিল অনেক আগে। ফিক্সারের সঙ্গে সাকিবের যোগাযোগের অনেক বিষয় প্রকাশ করেছে আইসিসি।

আইসিসি বলছে, ২০১৭ সালের নভেম্বরের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চলাকালে সাকিবের পরিচিত একজন তার ফোন নাম্বার ফিক্সার দিপক আগারওয়ালকে দেন। দিপক বিপিএল খেলা আরও খেলোয়াড়দের নাম্বার চেয়েছিলেন তখন। নভেম্বরের মাঝামাঝিতে সাকিবের সঙ্গে দেখা করতে বার বার বার্তা পাঠান আগারওয়াল।

২০১৮ সালের জানুয়ারিতে সাকিবের সঙ্গে আবারও যোগাযোগ করেন আগারওয়াল। দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ে-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তখন ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলছিল বাংলাদেশ। সিরিজ চলাকালে হোয়াটসঅ্যাপে আগারওয়াল সাকিবকে ম্যাসেজ পাঠান, 'আমরা এই সিরিজে কী কাজ করতে পারি নাকি আইপিএল পর্যন্ত অপেক্ষা করব?' আইসিসি এই 'কাজ' শব্দতে দলের ভেতরের খবর ফাঁস করার প্রস্তাবকে বুঝিয়েছে। চার দিন পর আগারওয়াল সাকিবকে অবারও ম্যাসেজ পাঠান, 'ব্রো, এই সিরিজে কিছু হবে?'

২০১৮ সালের এপ্রিলে আইপিএল খেলছিলেন সাকিব। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ম্যাচের আগে সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আগারওয়াল। ম্যাচে একজন খেলোয়াড় খেলবেন কিনা জানতে চান। সেখানেই না থেমে সাকিবের সঙ্গে বিটকয়েন, ডলার অ্যাকাউন্ট নিয়ে কথা বলেন ফিক্সার। সাকিবের ডলার অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত জানতে চান। আইসিসি দাবি করেছে, এই আলোচনার সময় সাকিব 'আগে দেখা করতে চাই' বলেছিলেন।

পরে বেশ কিছু ম্যাসেজ ফোন থেকে মুছে ফেলেন সাকিব। এবং এতোসব ঘটনার কোনটিই আইসিসি বা আকসুকে জানাননি সাকিব। বিষয়টি যে বড় ভুল হয়েছে, জিজ্ঞেসাবাদে তা স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তবে সাকিব নিশ্চিত করেছেন, আগারওয়ালকে কখনোই কোন তথ্য দেননি তিনি, তার প্রস্তাবে রাজি হননি এবং তার কোন উপহার বা অর্থও গ্রহণ করেননি।

তবে তিনবার প্রস্তাব পেয়েও না জানানোকে বড় অবরাধ হিসেবে গণ্য করে সাকিবকে ধারা অনুযায়ী শাস্তি দিয়েছে আইসিসি।