সবাইকে সাবধান করে দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া!

পাকিস্তানে দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়েই সফল হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডে সিরিজে হারলেও টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিল লঙ্কানরা। পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করার গৌরব নিয়ে ঘরে ফিরেছিল দ্বীপকুঞ্জের দেশটি। নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া সফর তখন অপেক্ষমান।

অস্ট্রেলিয়া সফরে কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি লঙ্কানরা। পূর্ণশক্তির দলই ঘোষণা করেছিল তারা। লক্ষ্য বিশ্বকাপের আগে সম্ভাব্য সেরা প্রস্তুতির প্রয়াস চালানো। অথচ সেরা দল নিয়েই অজিদের কাছে নাকানি-চুবানি খেতে হচ্ছে এশিয়ার পরাশক্তিদের। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার (২৩২/২) রানের চাপায় শেষ হয়ে গিয়েছিল তারা।

ডেভিড ওয়ার্নারের রানই করতে পারেনি লঙ্কানরা। অজি ওপেনার ১০০ রানে অজেয় ছিলেন ব্যাট হাতে। অথচ শ্রীলঙ্কা নির্ধারিত ওভারে তুলতে পারল নয় উইকেটে মোটে ৯৯ রান! বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়ার সামনে দাঁড়াতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। স্রেফ অসহায় আত্নসমার্পণ করেছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

এবার তাদের নয় উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছেন ফিঞ্চ-ওয়ার্নাররা। ব্রিসবেনে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের এক ওভার বাকি থাকতেই ১১৭ রানে গুটিয়ে গেছে লঙ্কানরা। জবাব দিতে নেমে ওয়ার্নার ও স্মিথ তাণ্ডবে ৪২ বল বাকি থাকতেই রাজসিক জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

এ যেন প্রতিযোগিতার কোনো মঞ্চ নয়; অস্ট্রেলিয়ার কাছে শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টিপাঠ! পরপর দুই ম্যাচে হেরে এখন খাদের চূড়ান্ত কিনারায় অতিথিরা। এই সিরিজে দুই দলের পারফরম্যান্স দুই মেরুতে। এখন শ্রীলঙ্কার হোয়াইটওয়াশ না হওয়াটাই বরং আশ্চর্যের হবে। আগামীকাল শুক্রবার সম্ভ্রম বাঁচানোর লড়াইয়ে নামবে অস্ট্রেলিয়া।

আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে কুড়ি ওভারের পরবর্তী বিশ্বকাপ। ওই আসরের শিরোপা জয়ের জন্য অজিরা কতটা মরিয়া তা বুঝিয়ে দিচ্ছে চলমান সিরিজে ওয়ার্নার-ফিঞ্চ-কামিন্সদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। লঙ্কানদের যেভাবে তারা দুমড়ে-মুচড়ে দিচ্ছে তা অন্য দলগুলোর জন্য এক প্রকার সতর্কবার্তা। শ্রীলঙ্কার এভাবে খড়কুটোর সতো উড়ে যাওয়া উপমহাদেশের জন্যও উদ্বেগের।