আপনি পড়ছেন

অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায়ে লাগাম টেনে ধরাসহ বেসরকারি স্কুলে ভর্তি নীতিমালায় বড় ধরনের তিনটি পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ২০২০ শিক্ষাবর্ষের জন্য নতুন এই নীতিমালা চলতি সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা হতে পারে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

private school in dhaka 1

তিন পরিবর্তন নিয়ে বেসরকারি স্কুলের ভর্তিতে নতুন নীতিমালা

নতুন নীতিমালায় যে তিনটি বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে- তার মধ্যে একটি হচ্ছে- নির্ধারিত আসনের থেকেও অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি না করাতে বেসরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই মোট আসন সংখ্যা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) পাঠাতে হবে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে।

দ্বিতীয়টি হচ্ছে, প্রতিবছর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ভর্তি কার্যক্রমের সময় নির্ধারিত ফি থেকেও অতিরিক্ত ফি নিয়ে থাকে। এই অতিরিক্ত ফি যেন আর আদায় করতে না পারে, সেজন্য উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে তিন ধরনের কমিটি গঠন করা হবে। এদের আবার উপ-কমিটি থাকবে। যারা এই বিষয়গুলো মনিটরিং করবে।

আর অন্যটি হচ্ছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলির ক্ষেত্রে আন্তঃউপজেলার বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। যা পূর্বে জেলা পর্যায়ে ছিল।

খসড়া ভর্তি নীতিমালায় বলা হয়, সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের লটারির মাধ্যমে ভর্তি করতে হবে। ৬ষ্ঠ ও ৯ম শ্রেণিতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার ফল অনুযায়ী ভর্তি করতে হবে। অন্য ক্লাসের ক্ষেত্রে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে তিনটি বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। চতুর্থ, পঞ্চম, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে তিন বিষয়ে (বাংলা, ইংরেজি, গণিত) ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়াও ভর্তির পুরাতন নীতিমালার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, এলাকা, শিক্ষা ইত্যাদি বিভাগের কোটা চালু থাকবে। সরকারি স্কুলের ১০ শতাংশ আসন সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্যও বরাদ্দ থাকবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যদি কোনো প্রতিষ্ঠান নতুন এই নীতিমালা ভঙ্গ করে, তাহলে মন্ত্রণালয় সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। চলতি সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ নীতিমালা জারি করা হতে পারে।