৫ শতাধিক সদস্যদের চোর গ্যাং, চুরি করেছে হাজার গাড়ি

গাড়ি চোর চক্রের এক ‘গ্যাং লিডার’কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই গ্যাং লিডার আবু তালিব ওরফে ল্যাংড়া তালেবকে চার সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, ওই চোরের প্রায় ৫ শতাধিক সদস্যের চোর গ্যাং রয়েছে, যারা চুরি করেছেন অন্তত এক হাজার গাড়ি।

হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়কের পাইকপাড়া এলাকা থেকে এই চোরদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি চোরাই সিএনজি উদ্ধার করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন গ্রেপ্তারকৃতরা।

জবানবন্দিতে চোররা বলেন, তারা বিগত ১০ বছর ধরে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশাসহ এক হাজারের বেশি গাড়ি চুরি করেছেন। তাদের গ্যাংয়ে দেশজুড়ে আছে পাঁচ শতাধিক সদস্য রয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সুনামগঞ্জ ছাতক উপজেলার আন্দাইরগাওয়ের জালাল উদ্দিন, জেলার তাহিরপুর উপজেলার গাগড়ার হেলাল মিয়া, সিলেটের ওসমানী নগরের আলতাফ ও মৌলভীবাজারের হুমায়ুন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ উল্ল্যা জানান, চোর গ্যাংয়ের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গাড়ি চুরি করতো। অনেক সময় টাকার বিনিময়ে মালিককে গাড়ি ফেরতও দেন। এই গ্যাংয়ের মূলহোতা চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা গ্রামের আবু তালেব ওরফে ল্যাংড়া তালেব।

পুলিশ সুপার বলেন, ল্যাংড়ার গ্যাংয়ে পাঁচ শতাধিক সদস্য। ২০০৮ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত এক হাজারের বেশি গাড়ি চুরির ঘটনা তারা ঘটিয়েছে। প্রথমদিকে প্রাইভেটকার এবং মোটরসাইকেল চুরি করলেও পরে তারা সিএনজি চুরি শুরু করেন। অনেক সময় মুক্তিপণের মতো টাকার বিনিময়ে এসব গাড়ি মালিককে ফেরতও দিতেন।

মোহাম্মদ উল্ল্যা আরও বলেন, হবিগঞ্জ পুলিশের কাছে এমন একটি কেস আসে। এরপর গাড়ি ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য গ্যাংদের এক লাখ টাকা দেয়া হয়। পরে তারা পুলিশের ফাঁদে পা দিলে বৃহস্পতিবার ভোরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে চার সহযোগীসহ আবু তালিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। আদালতে তারা জবানবন্দিও দিয়েছেন।