আ. লীগের সম্মেলনে দুগ্রুপের সংর্ঘষে রণক্ষেত্র

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের সভাস্থলে চেয়ার দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুর ২টায় খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সাত বছর পর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

আ. লীগের দুগ্রুপের সংর্ঘষ

সম্মেলন শুরুর আগে সকাল সাড়ে ৯টার আগেই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের সমর্থক ও কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের এমপি সেলিম আলতাফ জর্জের সমর্থকরা সভাস্থলের চেয়ার দখলের চেষ্টা করেন।

এ সময় হলুদ গেঞ্জি পরিহিত এমপি সমর্থিত উপজেলা সভাপতি বাবুল আখতারের কর্মী সমর্থকদের সাথে সাদা গেঞ্জি পরিহিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সমর্থক মেয়র তারিকুল ইসলামের সমর্থকদের সাথে সংর্ঘষ বাঁধে। বৈঠা ও দেশীয় আস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু করেন।

সভাস্থলে সংঘর্ষের এ ঘটনায় আহত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ভাতিজা রবিন খান (২৮), জয়নাল মোল্লা (৫৫), জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুলসহ (৪৩) আকাশ (১৮), আছিব (১৬), উজ্জল (৪৮), সাগর (২৬), নয়ন (৩০), লিটন (৩০), জিহাদ (১৭), দুলাল (২৮), মতিন শেখ (৩৫), হজরতকে (৩২) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। অন্যরা স্থানীয় পর্যায়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

সংর্ঘষে আহত একজন

এদিকে সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পরলে খোকসা ইউনিয়নের ক্লাবমোড়, তেল পাম্প, বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন পয়েন্টে দুই গ্রুপের আরও কর্মী সমর্থক লাঠি সোটা নিয়ে অবস্থান নেন।

ঘটনার পর সভাস্থলসহ গুরুত্বপূর্নস্থানগেুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী জেরীন কান্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নূরানী ফেরদৌস দিশা চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে যান।

সম্মেলন কমিটির সদস্য জানান, হামলার পর আহত কর্মী সমর্থকদের নিয়ে তারা ব্যস্ত রয়েছেন। তবে উপজেলা সভাপতি বাবুল আক্তার জানান, কেন্দ্রীয় নেতারা জেলায় অবস্থান করছেন। নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ আট পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।