আপনি পড়ছেন

বিদ্যালয়ে মোবাইল ব্যবহারের ফলে প্রতিনিয়ত পড়াশুনায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। আবার ক্লাস চলাকালীন সময়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ফোনে কথা বলা নিয়েও অভিযোগ রয়েছে অভিভাবকদের। তাই বিষয়টি এবার একটু কঠিনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে চায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দপ্তর।

mobile use in classস্কুলে মোবাইল আনতে পারবে না শিক্ষার্থীরা

বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়ে নতুন নীতিমালা জারি করেছে রাজ্যটির শিক্ষা দপ্তর। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উপসচিব পার্থ কর্মকারের তরফ থেকে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এর আগে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর অনুমোদন দেন।

আগামী ২০২০ সালের নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের সকল সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলসহ রাজ্যের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনস্থ সকল বিদ্যালয়ে এ নিয়ম কার্যকর করা হবে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীরা আর বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মোবাইল ফোন আনতে বা ব্যবহার করতে পারবে না। পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও ক্লাস এবং ল্যাবরেটরিতে মোবাইল ব্যবহার বা ফোনে কথা বলা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। তাদের ক্ষেত্রেও ঘন ঘন মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে বিশেষ প্রয়োজনে তারা প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে লিখিত অনুমতির প্রেক্ষিতে ক্লাসে মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন।

mobile use in class 2স্কুলে মোবাইল আনতে পারবে না শিক্ষার্থীরা

এছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বলা হয়, প্রতিদিন স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হওয়া স্কুলের প্রার্থনায় সকলকে অংশ নিতে হবে। যদি কেউ এই সময়ের পরে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে, তাহলে সেটি তার দেরি হিসেবেই গণনা করা হবে। আর কেউ যদি স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ০৫ মিনিটের পর বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে, তাহলে সেদিন তাকে অনুপস্থিত হিসেবেই গণনা করা হবে।

এর বাইরেও বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্কুল শেষ হওয়ার আগে চলে যাওয়ার বিষয়ে নির্দেশিকায় বলা হয়, বিকাল সাড়ে চারটার আগে বিদ্যালয় থেকে বের হওয়া যাবে না। এসব নির্দেশিকার বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।