আতিকুলের ত্রিমুখী, তাবিথের ৩৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা

ডেঙ্গু ,যানজট ও দূষণমুক্ত অত্যাধুনিক বাসযোগ্য ঢাকা গড়ে তোলার প্রত্যয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৮ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আওয়াল। সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়্যেলস ব্যাংকুয়েট হলে এই ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি। এর আগে গতকাল রোববার তাবিথের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে ত্রিমুখী ইশতেহার উপস্থাপন করেছেন তিনি। 

তাবিথের ঘোষিত ইশতেহারে মশক নিয়ন্ত্রণ, যানজট ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দূষণমুক্ত পরিচ্ছন্ন ঢাকা, নিরাপত্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ পানি, নিরাপদ খাদ্য, পাবলিক টয়লেট, অপরাধ দমন, বিনোদন, আবাসন ও নগর প্রশাসনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম দিন থেকে সেবা দেওয়ার অঙ্গীকার করে তাবিথ আউয়াল বলেন, নগর সংস্কার করে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। নাগরিক সেবা ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। ঢাকাতে মশার উপদ্রব অন্যতম প্রধান একটি সমস্যা। সরকার ও মেয়ররা মশা নিধনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি নির্বাচিত হলে বছরব্যাপী মশক নিধন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ঢাকার যানজট নিরসনের পাশাপাশি বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন।

নির্বাচিত হলে ঘোষিত এই ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে পারবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে মনে সাহস থাকে। জনগণ পাশে থাকলে ইশতেহার বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ জনগণের শক্তির কাছে সবাই মাথানত করতে বাধ্য।

ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ও সেলিমা রহমান, ঐক্যফ্রন্টের নেতা জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদিন ফারুক প্রমুখ।

এর আগে গতকাল রোববার তাবিথের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে ত্রিমুখী ইশতেহার উপস্থাপন করেছেন তিনি।

তার নির্বাচনী ইশতেহারের স্লোগান 'সবাই মিলে সবার ঢাকা'। ত্রিমুখী ইশতেহারের মূল লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে, সুস্থ্য ঢাকা, সচল ঢাকা ও আধুনিক ঢাকা হিসেবে ঢাকা উত্তরকে গড়ে তোলা।

এছাড়া বছরব্যাপী মশক নিধনের বিষয়টি তার ইশতেহারে আছে। সেসাথে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দখল ও দূষণমুক্ত নগরী, আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা, অ্যাপের মাধ্যমে নাগরিক সমস্যা সমাধান, ঢাকাকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়গুলো আলাদা করে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।

ইশতেহার ঘোষণার পর আতিকুল বলেন, ঢাকায় নানাবিধ সমস্যা আছে। সংকটের কোনো অভাব নেই এখানে। সেসাথে আছে সীমাবদ্ধতা ও নানানরকম নাগরিক যন্ত্রণা।

তবে ঢাকা আপনার ,আমার-সবার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাইকে একটু সচেতন হতে হবে। এই শহর সবার থেকে একটু করে হলেও সহোযোগিতা পাওনা। তাই সবাই আন্তরিক ও উদ্যোগী হলে ঢাকা উত্তরে পরিবর্তন দৃশ্যমান হবেই।