বিতর্ক শেষে আরেকটি ভারত-পাকিস্তান লড়াই

বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড ও ভারত এই তিন দল আগেই যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে রেখেছে। কাল রাতে চতুর্থ দল হিসেবে সেমির টিকিট নিশ্চিত করল পাকিস্তান। আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ছয় উইকেটে হারিয়ে সেমিতে উঠেছে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পাকিস্তানিদের প্রতিপক্ষ ভারত।

অর্থাৎ বিশ্বকাপে আর একটি ভারত-পাকিস্তানের রোমাঞ্চকর লড়াই দেখতে যাচ্ছে ক্রিকেটভক্তরা। তবে এই মুহূর্তে ভারত-পাকিস্তানের আসন্ন লড়াই নিয়ে না যতোটা তার চেয়ে বেশি কথা হচ্ছে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটা নিয়ে।

সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে পাকিস্তানের সামনে সেভাবে দাঁড়াতেই পারেনি আফগানিস্তান। প্রথমে ব্যটিং করে ১৮৯ রান তোলে আফগানরা। পরে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শোয়েব মালিকের ভাতিজা মোহাম্মদ হুরায়রার দারুণ এক ফিফটিতে ৫৩ বল হাতে রেখে ছয় উইকেটের জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান। এই হুরায়রার আউট হয়েই চলছে তুলকালাম।

পাকিস্তানের ইনিংসের ২৮তম ওভারের খেলা চলছিল তখন। পাকিস্তানের স্কোর ১২৭/৪, জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৩৪ বলে ৬৩ রান হাতে আছে ৭ উইকেট। ম্যাচের এমন পরিস্থিতিতে হুরায়রাকে বিতর্কিত ‘মানকাড’ আউট করেন আফগানিস্তানের ১৫ বছর বয়সী স্পিনার নুর।

আফগান স্পিনার বল ছোড়ার সময় দেখেন ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন হুরায়রা। দেরি না করে তার স্টাম্প ভেঙে দেন নুর, আউট। অবশ্য ক্রিকেটের নিয়মে এই আউটের বিধান আছে, কিন্তু ক্রিকেট স্পিডের পরিপন্থী মনে করা হয়। ‘স্পোর্টসম্যানশিপ’ মানসিকতা থেকে এই আউটের কোন জায়গা নেই।

মাত্র ১৫ বছর বয়সী এক ক্রিকেটার এটা করেছে বলে সমালোচনা আরও বেশি হচ্ছে। হুরায়রা অবশ্য আফগান ক্রিকেটারকে দোষারপ করলেন না। তিনি বলেন, ‘এই অভিজ্ঞতা থেকে আমি শিখব। ক্রিজের ভেতর থাকা উচিত ছিল আমার। ভবিষ্যতে যেন এমন কিছু না ঘটে তা নিশ্চিত করব।’