আপনি পড়ছেন

আগামীকাল সোমবার থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। এবারের পরীক্ষা গত ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের কারণে তা দুই দিন পিছিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।

ssc exam 2

এবার সারাদেশে ৩ হাজার ৫১২টি কেন্দ্রে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুই শিফটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যাতে অংশ নেবে ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী।

৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার এসএসসি ও কারিগরির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি। দাখিল তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১ মার্চ। সকল মাধ্যমের ব্যবহারিক পরীক্ষা আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হবে আগামী ৫ মার্চের মধ্যে।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাজধানীর তেজগাঁও সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।

শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, এ বছর এসএসসিতে নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের অধীনস্থ ২৮ হাজার ৮৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৪০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। যার মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৯১ হাজার ৯১৮ জন এবং ছাত্রী ৮ লাখ ৪৩ হাজার ৩২২ জন।

এছাড়া দাখিল পরীক্ষায় এবার অংশগ্রহণ করবে ২ লাখ ৮১ হাজার ২৫৪ জন এবং কারিগরি পরীক্ষায় ১ লাখ ৩১ হাজার ২৮৫ জন।

ssc exam

গতবারের মতো এবারও বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) অংশের পরীক্ষা আগে এবং রচনামূলক/সৃজনশীল অংশের পরীক্ষা পরে অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট আগেই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে এ সময়ের মধ্যে প্রবেশ করতে না পারলে পরীক্ষার্থীর নাম, রোল, প্রবেশের সময় এবং দেরি হওয়ার কারণ রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করে তা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করতে হবে।

প্রতিটি কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে কেন্দ্র সচিবের মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে প্রশ্নের সেটকোড জানিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্র সচিব ব্যতীত অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস জাতীয় কিছু নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে ছবি তোলা যায় এমন মোবাইল ফোন তিনি ব্যবহার করতে পারবেন না।

সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তাদের নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ২০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে।

এছাড়া অটিস্টিক পরীক্ষার্থীরা অভিভাবক, শিক্ষক বা সাহায্যকারীর সহায়তা নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন। তাদের জন্য নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে।

এবার বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ব্যতীত অন্য সকল বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।