নারী সহকর্মীকে হত্যার পর এসআইয়ের আত্মহত্যা!

বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নারী সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা করার পর আত্মহত্যা করেছেন পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।

নিহত প্রীতি আহ্লাওয়াত পূর্ব দিল্লির প্রতাপগঞ্জ শিল্পাঞ্চল থানায় এসআই পদে কর্মরত ছিলেন। তার এবং আত্মঘাতী দীপাংশু রাঠির বাড়ি হরিয়ানার সোনিপতে। তবে তারা দুই জনেই কর্মসূত্রে একসঙ্গে দিল্লির রোহিণীতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তারা দুই জনেই ২০১৮ ব্যাচে দিল্লি পুলিশে যোগ দেন।

দিল্লি পুলিশের বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ওইদিন রাতে কাজ শেষ করে বাসায় ফিরছিলেন প্রীতি। পথে রোহিণী স্টেশনে মেট্রো থেকে নামলে তাকে লক্ষ্য করে পর পর তিনটি গুলি করেন দীপাংশু। এতে মাথায় গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মারা যান প্রীতি। পরে কর্মস্থল সোনিপতে পুলিশের গাড়িতে আত্মহত্যা করেন দীপাংশু। এ সময় গাড়ির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রোহিণী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এসডি মিসরা বলেন, প্রীতিকে হত্যার স্থান থেকে তিনটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দীপাংশুকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে দীপাংশু। ঘটনার তদন্ত করছে এবং প্রীতি ও দীপাংশুর মরদেহ ময়ানাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, প্রীতিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হন দীপাংশ। আর এই আক্রোশেই প্রীতিকে হত্যা করেন তিনি।