আকারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ। এর আনুষ্ঠানিক নাম ফাইভ হান্ড্রেড মিটার অ্যাপারচার স্ফেরিক্যাল টেলিস্কোপ, সংক্ষেপে ফাস্ট। তবে চীন এর নাম দিয়েছে ‘স্কাই আই’ বা ‘আকাশ চোখ’। মহাবিশ্বের সৃষ্টির রহস্য এবং বিবর্তনের তথ্য উদ্ঘাটন করতেই টেলিস্কোপটি তৈরির উদ্দেশ্য।

world largest telescope sky eye

জানা যায়, শক্তিশালী এ রেডিও টেলিস্কোপটি ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি। মহাবিশ্বের গভীরতম ও অন্ধকারতম কোণে এটি অনুসন্ধান করার চেষ্টা করবে কীভাবে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবীর বাইরে অন্য কোথাও জীবের অস্তিত্ব আছে কি না তাও খুঁজে বের করার কাজ করবে টেলিস্কোপটি। এর ব্যাস ৫০০ মিটার, যা রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল পুয়ের্তো রিকোর আরিসিবো পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের, যার ব্যাস ছিলো ৩০৫ মিটার।

চীনের বার্তাসংস্থা শিনহুয়া জানায়, চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ডাওয়াডাং ডিপ্রেশনে (যা একটি প্রাকৃতিক গোলাকার উপত্যকা) টেলিস্কোপটির অবস্থান। ২০১৬ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এটি শুধু পৃথিবীর সবচেয়ে বড় যন্ত্রই নয়, বর্তমানে চালু থাকা অন্যান্য বৃহদাকৃতির রেডিও টেলিস্কোপের চেয়ে আড়াই গুণ বেশি স্পর্শকাতর।

world largest telescope sky eye02

নির্মাতারা বলছেন, টেলিস্কোপটি মহাবিশ্বের সৃষ্টির রহস্য এবং বিবর্তনের তথ্য উদ্ঘাটন করবে। এর প্রধান কাজ হচ্ছে তরঙ্গের অনুসন্ধান। এ রেডিও টেলিস্কোপটির মহাবিশ্বের তরঙ্গ বিস্ফোরণের তথ্য দ্রুত শনাক্ত করার ক্ষমতা রয়েছে। যা বিজ্ঞানীদের অনেক ভালো সহায়তা দেবে। কারণ মহাবিশ্বের বিস্ফোরণ ১ মিলিসেকেন্ডের বেশি হয় না। যে কারণে এসব বিস্ফোরণ বিজ্ঞানীদের কাছে আজও একটি বড় রহস্য।

এর সাথে সংলিশ্ট বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রথম পরীক্ষায় ফাস্ট ১০২টি নতুন পালসার শনাক্ত করতে পেরেছে। পালসার হলো এক ধরনের ঘূর্ণনরত নক্ষত্র, যা নিয়মিত বিরতিতে বিকিরণ নির্গত করে।

জানা যায়, অন্যান্য টেলিস্কোপের তুলনায় ফাস্ট অনেক বেশি এলাকা পর্যেবেক্ষণ করতে সক্ষম এবং সে কারণে এটি অনেক বেশি সংখ্যক মহাজাগতিক ঘটনা ও বস্তু শনাক্ত করতে পারবে।

world largest telescope sky eye03

টেলিস্কোপটি নির্মানে খরচ হয়েছে ১৮০ মিলিয়ন ডলার। এর দূরবীনে ৪ হাজার ৪০০টি অ্যালুমিনিয়াম প্যানেল বসানো রয়েছে। যা মহাকাশের বিভিন্ন দিকে নজর রাখতে সক্ষম। এ বিশেষ সুবিধাই ফাস্টকে অন্যান্য টেলিস্কোপ থেকে আলাদা করেছে।

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.