বিস্ময় বালকের অনুপ্রেরণা আরেক ‘বিস্ময় বালক’

ইউরোপিয়ান ফুটবল কাঁপিয়ে দিয়েছেন আর্লিং হাল্যান্ড। ইউরোপিয়ান শীর্ষস্থানীয় ক্লাবে নাম লেখানোর আগেই ছড়িয়ে পড়েছে তার নাম। বিস্ময় এই বালককে ঘিরে চলছে তুমুল মাতামাতি। হবেই বা না কেন? আগুনে ফর্মে আছেন নরওয়েজিয়ান এই ফরওয়ার্ড।

গেল জানুয়ারিতে সবচেয়ে আলোচিত দলবদল ছিল হাল্যান্ডের। রেড বুল সালবার্জ থেকে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে যোগ দেন এই তরুণ প্রতিভা। ডর্টমুন্ডের জার্সিতে প্রথম চার ম্যাচে আট গোল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। তন্মধ্যে দুটি ম্যাচেই হাল্যান্ড উঠে এসেছেন বেঞ্চ ছেড়ে!

দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সের কারণে বুন্দেসলিগার গত মাসের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন হাল্যান্ড। তার আগে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ সালবার্জের তার পারফরম্যান্সও চোকধাঁধানো। গ্রুপপর্বের প্রথম ছয় ম্যাচে আট গোল করেছেন তিনি। অবিশ্বাস্য বটে।

এই হাল্যান্ডকে নিয়ে এখন এতটাই মাতামাতি চলছে যে মেসি-রোনালদো যুগ পরবর্তী বিশ্ব ফুটবলের ভবিষ্যত ভাবা হচ্ছে তাকে। কৌতুহল জাগতেই পারে হাল্যান্ড এমন পারফরম্যান্সের অনুপ্রেরণা পান কোথা থেকে। বিস্ময়কর হচ্ছে তিনি, অনুপ্রেরণা খুঁজে নিয়েছেন আরেক ‘বিস্ময় বালক’ কিলিয়ান এমবাপ্পের কাছ থেকে!

শনিবার জার্মান বুন্দেসলিগার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটকে এক সাক্ষাৎকারে হাল্যান্ড বলেছেন নিজের স্বপ্নের কথা, ‘আমি সবসময় নিজেকে বলি, আমাকে বিশ্বের অন্যতম সেরা একজন খেলোয়াড় হতে হবে। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন থেকেই জানতাম আমি ভালো খেলি। আমাকে অনেক দূর যেতে হবে।’

হাল্যান্ড আরো বলেছেন, ‘যখন আমি ব্রিনের সঙ্গে পেশাদার প্রথম কোনো চুক্তি করি, তখন ভাবতাম এটা দারুণ। কিন্তু এটা তুলনা করার মতো নয়। যখন সালবার্জে ছিলাম, গোল করি এবং বাস্তবমূখী হতে শুরু করি। আমি কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দেখতাম সে লিগ ওয়ানে গোল করতো। তখনই আমি সর্বোচ্চ পর্যায়ে ফুটবল খেলার অনুপ্রেরণা পাই।’

হাল্যান্ডের বাবা রয় কেন-ও ফুটবলার ছিলেন। নরওয়ে জাতীয় দলের হয়ে ৩৪টি ম্যাচ খেলেছিলেন তার বাবা। বাবার চেয়েও ভালো ক্যারিয়ার গড়তে মুখিয়ে আছেন কিনা এমন প্রশ্নে হাল্যান্ড বলেছেন, ‘না, এখনো ‍উপভোগ করতে পারিনি। তিনি নরওয়ের হয়ে ৩৪টি ম্যাচ খেলেছেন। দুশোর বেশি ইংলিশ লিগ ম্যাচ খেলেছেন। তা থেকে আমি এখনো অনেক দূরে আছি।’