তামিম-লিটনের তাণ্ডব: ওলট-পালট রেকর্ড বই

অবিশ্বাস্য, অভাবনীয়, অতুলনীয়, অকল্পনীয় কিংবা অনুনমেয়। আজ বাংলাদেশ দুই ওপেনার লিটন দাস ও তামিম ইকবাল যা করেছেন এটার বিশেষণ হতে পারে এ রকম অনেক কিছুই। এদিন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুজন মিলে গড়েছেন ২৯২ রানের জুটি। এই জুটির ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ গড়েছে রানেরপাহাড়; ঝড় উঠেছে রেকর্ড বইয়ে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রেকর্ডগুলো:

আজ বৃষ্টিভেজা ম্যাচে নির্ধারিত ৪৩ ওভারে তিন উইকেটে ৩২২ রান করেছে বাংলাদেশ। যা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে টাইগারদের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড। গেল মঙ্গলবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও একই রান করেছিল স্বাগতিকরা। সেদিন অবশ্য পুরো ৫০ ওভারই ব্যাটিং করেছিল বাংলাদেশ।

লিটন-তামিমের জুটিটা ছিল ২৯২ রানের। যা ওয়ানডেতে টাইগারদের যে কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। যা সার্বজনীন রেকর্ডে সর্বোচ্চ ষষ্ঠতম জুটি। তবে উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ তৃতীয় রানের জুটি এটা।

লিটন-তামিম দুজনই সেঞ্চুরি পেয়েছেন আজ। বাংলাদেশের এক ইনিংসে দুই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি করার চতুর্থ ঘটনা এটা।

তামিম ১২৮ রানে অজেয় ছিলেন। এটা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৪তম শতক। এই সংস্করণে বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যানেরই শতক সংখ্যায় দুই অংক ছোঁয়ার নজির নেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নয়টি সেঞ্চুরি আছে নির্বাসনে থাকা সাকিব আল হাসানের।

তামিম-লিটন আজ ভেঙেছেন বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ ১৭০ রান করা আল শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ ও মেহরাব হোসেন অপির রেকর্ড।

বাংলাদেশের এক সিরিজে দুই ওপেনারের দুটি করে সেঞ্চুরি পাওয়ার প্রথম নজির এটা।

লিটন আউট হয়েছেন ১৭৬ রানে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে যা কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। দুদিন আগে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই নিজের রেকর্ড ভেঙেছিলেন তামিম। করেছিলেন ১৫৮ রান। তার আগের রেকর্ডটি ছিল ১৫৪ রানের।

আজ প্রায় তিন শ রানের জুটি গড়ার পথে তামিম ও লিটন যৌথভাবে মেরেছেন ১৪টি ছক্কা। এক ম্যাচে বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ছক্কার নতুন রেকর্ড এটা।

এক ম্যাচে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডও এটা। গত বছর ডাবলিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১১টি ছক্কা হাঁকিয়েছিল টাইগাররা।

ইনিংস শেষে বাংলাদেশের ওভার প্রতি রান ৭.৪৮। যা টাইগারদের ওভার প্রতি গড়ে সর্বোচ্চ রান তোলার দ্বিতীয় রেকর্ড। গত বছর টনটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৪১.৩ ওভারে ৩২২ রান করেছিল বাংলাদেশ। সেদিন ওভার প্রতি গড়ে ৭.৭৫ রান করেছিল টাইগাররা। এনিয়ে চতুর্থবার ৩২২ রান করেছে টাইগাররা।

এনিয়ে দ্বিতীয়বার তিন উইকেটে তিন শ ছাড়িয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে যতবারই বাংলাদেশ তিন শ ছাড়িয়েছে, তখন অন্তত চার উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা।