আপনি পড়ছেন

মহামারীর আকার ধারণ করেছে মরণঘাতক করোনা ভাইরাস। বিশ্বজুড়ে এক অজানা আতঙ্কের প্রহর গুণছে মানুষ। না জানি কখন আমি বা আমার নিকটজন আক্রান্ত হয়ে যায়- এই ভয় তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে পৃথিবীর সাড়ে সাতশ কোটি মানুষকে। করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যুর মিছিলে পা রেখেছে আমাদের সবুজ-শ্যামল প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশও। এতে করে জনমতে ভয় আরো বেড়ে গেছে।

corona

একটি কথা খুব ভালো করে মনে রাখতে হবে, আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কিছুই হয় না। আল্লাহর সাহায্য থাকলে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও আমরা সুরক্ষিত থাকব ইনশাল্লাহ।

জীবন-মৃত্যুর মালিক আল্লাহ তায়ালা। পবিত্র কোরআনে বারবার বলা হয়েছে, কোনো মানুষ নির্দিষ্ট সময়ের এক মুহূর্ত আগেও মরবে না, এক মুহূর্ত পরেও মরবে না। কারো তাকদিরে যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু লেখা থাকে, তাহলে তাকদিরকে মেনে নেয়া ছাড়া কিছুই করার নেই মানুষের।

হাদিস শরিফে রাসুল (সা.) মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের শহীদ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তাই একথা নিশ্চিতেই বলে দেয়া যায়, করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে শহীদি মর্যাদা পাওয়া যাবে। কেননা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করেছে।

জাবের বিন আতিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসুল (সা.) আমাদের জিজ্ঞেস করলেন- তোমরা শহীদ বলতে কাদের বুঝে থাকো?

জবাবে আমরা বললাম, যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয় আমরা তাদেরকেই শহীদ মনে করি।

এ কথা শুনে রাসুল (সা.) আমাদের বললেন, যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়েছেন, তারা তো অবশ্যই শহীদ। এ ছাড়াও সাধারণ শহীদ আছে। এ বলে নবীজি (সা.) সাধারণ শহীদদের শ্রেণি বিভাগ বর্ণনা করলেন। নবীজি (সা.) বললেন-

যারা মহামারীতে মারা যায় তারা শহীদ।

যারা রোগযন্ত্রণায় মারা যায় তারা শহীদ।

যারা পানিতে ডুবে মারা যায় তারা শহীদ।

যারা আগুনে পুড়ে মারা যায় তারা শহীদ।

যারা পেটের অসুখে মারা যায় তারা শহীদ।

যারা কিছুর নিচে পিষ্ট হয়ে মারা যায় তারা শহীদ।

যারা সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যায় তারা শহীদ

হাদিসটি আবু দাউদ, নাসায়ি এবং মিশকাত শরিফে বর্ণিত হয়েছে। গবেষকরা হাদিসটিকে সহি মনে করেন। 

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর