যতো দিন যাচ্ছে নোভেল করোনা ভাইরাসে পৃথিবী ততোই বেসামাল হয়ে পড়ছে। ২৩ মার্চ পর্যন্ত পৃথিবীজুড়ে সাড়ে তিন লাখের বেশি মানুষ এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। বাংলাদেশেও আক্রান্তের সংখ্যা ৩০-এর বেশি। মারা গেছেন তিনজন। সরকারি হিসেবের বাইরেও অনেকে মারা গিয়ে থাকতে পারেন বা আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ দিকে, এই পরিস্থিতির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ডিজিটাল সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। চাপ বেড়ে যাচ্ছে ব্যবহারকারিদের। 

social media have to handle more traffic now

যেহেতু করোনা ভাইরাস থেকে বেঁচে থাকার একটি উপায় হলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, সেহেতু প্রচুর লোক ডিজিটাল মাধ্যমের উপর নির্ভর করে যোগাযোগ করছেন। আর এতেই সামাজিক মাধ্যমে পড়ছে দারুণ প্রভাব।

ফেসবুক সম্প্রতি জানিয়েছে, স্বাভাবিকের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি ব্যবহারকারি এখন গ্রুপ ভিডিও কলিং সেবা ব্যবহার করছেন। ফেসবুকের মতো ভিডিও কল বেশি হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপেও। বিশ্বের বিভিন্ন শহর লকডাউন করে ফেলা হয়েছে। ফলে লোকজনের সামনাসামনি দেখা করার অবস্থা বা সুযোগ কোনোটিই আপাতত নেই। এই অবস্থায় ডিজিটাল মাধ্যমেই যোগাযোগের একমাত্র উপায় হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।

করোনা ভাইরাসের কারণে অন্য এক প্রভাবও পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর উপর। ফেইক নিউজে ছেয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্লাটফর্ম। ফেসবুক তো বটেই, টুইটার, ইউটিউবেও প্রচুর ফেইক নিউজ ছড়িয়ে পড়ছে। অনেক বেশি গ্রাহককে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার পাশাপাশি ভুল নিউজের বিরুদ্ধেও লড়তে হচ্ছে তাদের।

ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেছেন, “আমরা আরো বেশি ট্রাফিক মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখনো অনেক দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সেভাবে খুব বেশি নয়। যদি বেশি হয়েও যায় এবং আমাদের ট্রাফিক আরো বাড়ে, আমরা তা সামাল দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.