আপনি পড়ছেন

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বাংলাদেশ কার্যত লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে খবর এসেছে যে, বাংলাদেশে সীমিত পর্যায়ে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা এলাকাভিত্তিক লোকজন আক্রান্ত হওয়া শুরু করেছে। এই রকম বিষয় ঘটতে থাকলে করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। ফলে লকডাউন করা ছাড়া বিশেষ কোনো উপায়ও নেই। কিন্তু লকডাউনের ফলে অনিঃশেষ সঙ্কটের মধ্যে পড়তে পারেন মধ্যবিত্ত সমাজ। এমনই মনে করছেন অনেকে।

tolarbag is locked down due to coronavirus

করোনা ভাইরাসের কারণে ঢাকার ভেতরে সবার আগে লকডাউন করা হয় মিরপুরের টোলারবাগ এলাকা। সেখানে একজন বৃদ্ধ করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার সাথে চলাফেরা ছিলো, এমন একজনও একইভাবে মারা যান। এরপরই এলাকাটি লকডাউন করা হয়। ফলে ঘরবন্দি হয়ে আছেন কয়েক হাজার মানুষ।

এই লকডাউনের সেখানকার নিম্নবিত্তের মানুষরা সরকারি-বেসরকারি নানা রকম সহায়তা পাচ্ছেন। সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে তাদের বাসায় বাসায়। কিন্তু বিপদে পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। তারা না পারছেন কারো কাছে সহায়তা চাইতে, না পারছেন ঘরে থাকা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে দিনযাপন করতে। কারণ তাদের বেশির ভাগেরই হাতে পর্যাপ্ত টাকা নেই, কাজ বন্ধ থাকায় বাজার টাকা আয় করার পথও নেই। এই পরিস্থিতিতে তাদের জন্যও সরকারি সাহায্যের উপায় বের করা উচিত বলে মনে করেন টোলারবাগে বসবাস করা সাহিত্যকর্মী নজরুল ইসলাম।

তিনি টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপারকে বলেন, “আমরা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য লকডাউনের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে রাজি আছি। লকডাউন করা ছাড়া করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো কঠিন, সেটা আমরা বুঝি। কিন্তু লকডাউনে থাকা পরিবারগুলোর সমস্যাগুলো সমাধান করাও জরুরি।”

তিনি আরো বলেন, “লকডাউনের কারণে সৃষ্ট হওয়া জটিলতায় দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের জন্য সরকারি সহায়তার ঘোষণা এসেছে। বেসরকারি খাত থেকেও তাদের জন্য সহায়তা আসছে। কিন্তু বিপদে পড়েছে নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। কারণ তাদের পক্ষে কারো কাছে সহায়তা চাওয়া কঠিন। তাদের বেশির ভাগের আয় মাসে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা। মাস শেষে এসে দেখা যায় এই টাকার কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। ফলে নানা ধরনের কৌশল করে তাদের সংসার চালাতে হয়। কিন্তু লকডাউনের ফলে সেই রকম কোনো কিছু করাও তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। অন্য দিকে সরকার বা দাতা গোষ্ঠিগুলো মনে করছে বহুতল ভবনে তারা থাকেন, সুতরাং তাদের অভাবে পড়ার কথা নয়। অথচ বাস্তবচিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।”

নজরুল মনে করেন, সরকার বা দাতা গোষ্ঠিরা যদি লকডাউন করা এলাকাগুলোর নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর সমস্যার দিকেও নজর দেয় তাহলে তাদের অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, লকডাউনের কারণে এখন পর্যন্ত নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর সঙ্কট প্রায় অনিঃশেষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একই এলাকার এক ব্যক্তি টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপারকে বলেন, “মাস শেষে এমনিতেই হাতে টাকা পয়সা থাকে না। এর মধ্যে লকডাউনের কারণে আরো বাজে পরিস্থিতিতে পড়ে গেছি। আর দুই তিনদিন পর ঘরের সব খাবার শেষ হয়ে যাবে। এর মধ্যে যদি বাইরের কোনো সহায়তা নাই পাই, কী হবে জানি না। কিন্তু আমরা কারো কাছে চাওয়ার মতো পরিবারও নই। এ অবস্থায় কী হবে, সত্যি কথা বলতে, আমরা কিছুই জানি না।”

২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ আছে। ফলে অনেকে চাইলেও ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে চলে যেত পারছেন না আবার ঢাকায়ও থাকতে পারছেন না অভাবের কারণে। এই পরিস্থিতিতে ঠিক কী অপেক্ষা করছে, তা নিয়ে ভয়ের মধ্যে পড়ে গেছেন ঢাকায় বসবাস করা অনেক নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবার।

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.