আপনি পড়ছেন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে যে দেশগুলোর অবস্থা সবচেয়ে খারাপ তার মধ্যে স্পেন একটি। দেশটিতে ৭২ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে। মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজার। পুরো স্পেনকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে ১৪ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। এমতাবস্থায় সেখানে অবস্থানকারী বাংলাদেশিরা শুধু বিপাকেই পড়েননি, রীতিমতো দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন।

embassy bd spain

স্পেনে প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশির বসবাস। অধিকাংশই দিনমজুর কিংবা পর্যটনকেন্দ্রিক ছোটখাট ব্যবসা করে টিকে আছেন। লকডাউন ঘোষণা করায় তাদের আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। ঘর থেকে বের হতে পারছেন না আবার খাবার কিনে খাবেন, সেই অর্থও নেই। স্থানীয় বাংলাদেশি এসোসিয়েশন কিছু সহযোগিতা করেছে কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় সেটা কিছুই নয়। সবমিলিয়ে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে বাংলাদেশি প্রবাসীদের।

এ অবস্থায় তাদেরকে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে মাদ্র্রিদে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস। দুদিন আগে দূতাবাসের কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুহতাসিমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি এসে পৌঁছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে। চিঠিতে অসহায় প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য কামনা করা হয়।

চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাস স্পেনে যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে, তাতে দূতাবাসের বাজেটের সঙ্গে আরো ১০ লাখ টাকা যোগ করলে সমস্যায় পড়া প্রবাসীদের আপাতত মানবিক সহায়তা দেওয়া সম্ভব হবে। এই চিঠির পর ইতোমধ্যেই ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দূতাবাসের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ তহবিলে।

স্পেনে বসবাসকারী ৩০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশির মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ জন। এর মধ্যে ২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ধার‌ণা করা হচ্ছে, লকডাউনের সময়সীমা আরো বাড়ানো হবে স্পেনে। সেক্ষেত্রে কী হবে বাংলাদেশি প্রবাসীদের, তারা সেটা জানেন না। সবমিলেয়ে এক ঘোরতর অনিশ্চিত জীবন যাপন করছেন তারা।