ইসরায়েলে জুনেই মানবদেহে করোনার ভ্যাকসিন!

ইসরায়েলের একদল গবেষক বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক প্রস্তুত করতে তাদের আর কিছু দিন সময় লাগবে। এবং আগামী ১ জুন মানবদেহে তারা প্রয়োগ করতে সক্ষম হবেন। খবর জেরুজালেম পোস্ট।

এমআইজিএল'র ল্যাব

জানা যায়, ইসরায়েলভিত্তিক এমআইজিএল এবং আইআইবিআর নামের দুটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে।

এমআইজিএল’র প্রধান ডক্টর চেন কাতজ বলেন, ‘আমরা ভ্যাকসিনটি তৈরির শেষ পর্যায়ে আছি। কিছু দিনের মধ্যেই আমাদের হাতে প্রোটিনটি চলে আসবে যা ভ্যাকসিনের প্রধান উপাদান।’

তিনি বলেন, আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো- একটি প্রযুক্তির উদ্ভাবন করা। এক্ষেত্রে আমরা এমন একটি প্রোটিনের ব্যবহার করছি, যা মানবদেহের অন্যান্য কোষের সঙ্গে মিশে গিয়ে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলবে এবং ক্ষতিকর ভাইরাসকে কোনো কাজ করতে দেবে না।

কাতজ আরো বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে আমরা দেখেছি, মুখে যদি এই ভ্যাকসিন দেয়া হয় তাহলে দেহে উচ্চ মাত্রায় রোগ প্রতিরোধ উপাদান আইবিভি’র উদ্ভব হয়। আমরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর ওপর এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ করে দেখতে চাই। এতেই বোঝা যাবে- আমাদের কাজ সফল কি বিফল হলো।

এমআইজিএল'র ল্যাব

জেরুজালেম পোস্ট জানায়, সে লক্ষ্যে গবেষকরা করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণাও শুরু করে দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তারা মুরগিকে আক্রান্ত করেছে এমন শ্রেণির করোনাভাইরাস নিয়ে পরীক্ষা করেছে। এসব ভাইরাসের সঙ্গে মানবদেহে সংক্রমণ ঘটানো করোনাভাইরাসের জিনের অনেক মিল আছে।

এ প্রসঙ্গে এমআইজিএল’র প্রধান বলেন, আমরা মুরগিকে আক্রান্ত করেছে এমন শ্রেণির করোনাভাইরাসের ওপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার পর সফলতা পেয়েছি। এই ভাইরাসটির আচরণের সঙ্গে মানবদেহে যেসব করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে তার অনেক মিল আছে। আমরা এখন যাচাই-বাছাই করে দেখছি, এই ভাইরাসের প্রয়োগে মানবদেহে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না।

তিনি আরো বলেন, যেহেতু আমরা মুখ দিয়ে এই ভ্যাকসিন দেব, তাই অনেক নিরাপত্তার দিক খেয়াল রাখতে হবে। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক খাদ্য সংস্থার সবুজ সংকেতের বিষয়টিও আছে। এসব কারণে একটু দেরিও হতে পারে ভ্যাকসিনের প্রয়োগ। তবে আমাদের বিশ্বাস, ১ জুন এটি মানবদেহে প্রয়োগ করতে সক্ষম হব।