আপনি পড়ছেন

কোরআন নাজিলের মাস রমজান আসছে। খতমে তারাবি রমজানের গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ। সারাদিন রোজা রেখে রোজাদার শরিক হন তারাবির জামাতে। হাফেজের মায়াবি কন্ঠে বাজে কোরআনের মধুর সুর। ঐশী বাণীর সুরে জুড়িয়ে যায় হৃদয়। এ বছর সে আনন্দ শঙ্কায় পরিণত হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে থমকে আছে পুরো বিশ্ব। বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নিয়েছে করোনা ভাইরাস। বন্ধ হয়ে গেছে মসজিদ। 

ramadan prayer qatarছবি, সংগৃহীত

এ সময়ে হাফেজরা পুরোপুরি ব্যস্ত থাকার কথা ছিলো তেলাওয়াতে। পুরোদমে চলত তারাবির প্রস্তুতি। তারাবির মসজিদ ঠিক করার জন্য দৌড়ঝাঁপ করত অনেক হাফেজ। বিভিন্ন মসজিদে ইন্টারভিউ দিত। মসজিদ কমিটিও তৎপর থাকেন পছন্দের হাফেজ নিয়োগ দিতে। কিন্তু এবার আর তেমনিট দেখা যায়নি। রমজানের আগে পরিবেশ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। এই আতঙ্কের মধ্যে হাফেজরা তারাবি নিয়ে কি ভাবছেন সেই বিষয়ে কথা হলো তিন হাফেজের সংঙ্গে।

হাফেজ লোকমান আল মাহমুদ। গত রমজানে তারাবি পড়িয়েছেন বনশ্রী বাইতুল আতিক জামে মসজিদে। এ বছর একই মসজিদে তারাবি পড়ানো কথা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বর্তমান এমন পরিস্থিতে দুশ্চিন্তায় আছি। একদিকে রমজান চলে আসছে অন্যদিকে করোনা ভাইরাস ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। এ বছর তারাবি পড়াতে পারব কিনা এখনো জানিনা। তবে মসজিদ কমিটির সঙ্গে কথা হয়েছে। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে তারাবি পড়াতে পারব। টানা এগারো বছর তারাবি পড়িয়েছি। কোন বছর তারাবি নিয়ে এমন দুশ্চিতায় পড়িনি। আল্লাহ যেন পরিবেশ ভালো করে দেন। প্রতিটি মসজিদে যেন কোরআনের সুর বাজে- প্রভুর দরবারে এটাই ফরিয়াদ।’

হাফেজ মুহাম্মদ আনোয়ার মাহমুদ গত বছর তারাবি পড়িয়েছিলেন লিংক রোড পুকুর পাড় জামে মসজিদে। তারাবির প্রস্তুতি কিভাবে নিচ্ছেন’? জানতে চাইলে উত্তরে তিনি বললেন, ‘রমজানের একমাস আগে তারাবির জন্য বেশি প্রস্তুতি নিই। কিন্তু এ বছর হাফেজদের চিন্তার বছর। মানসিকভাবে তারাবির জন্য হাফেজরা প্রস্তুত নয়। বিশেষ করে যাদের তারাবি ঠিক হয়নি তারা বেশি চিন্তায় আছেন। এ বছর এখনো কোন মসজিদে ইন্টারভিউ হয়নি। হাফেজদের জন্য তারাবি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

হাফেজ কারী কাওসার আহমদ। গত রমজানে তারাবি পড়িয়েছেন জয়দেবপুর পিলখানা জামে মসজিদে। এ বছর তারাবি বন্ধ থাকলে কি করবেন? জানতে চাইলে উত্তরে তিনি বলেন, ‘রমজান মাস হাফেজদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সারা বছর এ মাসের জন্য অপেক্ষায় থাকেন হাফেজরা। কিন্তু এবারের পবিবেশটা ভিন্ন। মসজিদে তারাবি নাও হতে পারে। মসজিদ বন্ধ থাকলে সবাইকে নিয়ে ঘরেই তারাবি পড়াব। টানা এক যুগ ধরে তারাবি পড়াচ্ছি। কোন বছর বাদ যায়নি । এ বছর ও বাদ যাবে না ইনশাআল্লাহ। হাফেজদের বলব নিজ নিজ বাসায় তারাবি চালু করার জন্য। তাহলে কোরআন খতম হবে তারাবিও আদায় হবে।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর