রিয়ালে ভালো নেই জোভিচ

গত মৌসুমে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন লুকা জোভিচ। ইন্ট্র্যাক্ট ফ্র্যাঙ্কফুর্টের হয়ে জার্মান বুন্দেসলিগায় গোল করেন ১৭টি। ইউরোপা লিগে জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছেন আরো দশবার। স্বাভাবিকভাবেই তার ওপর নজর পরে রিয়াল মাদ্রিদের। গত বছরের জুনে ৬০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ফ্র্যাঙ্কফুর্ট থেকে নিয়ে আসে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

অনেক স্বপ্ন নিয়েই সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে পাড়ি জমিয়েছিলেন জোভিচ। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের মতো বড় ক্লাবে এসে বাস্তবতা টের পাচ্ছেন তিনি। একাদশে সুযোগ পাচ্ছেন না নিয়মিত। গোলও পাচ্ছেন না। রিয়ালের হয়ে ২৪ ম্যাচে তার অর্জন দুই গোল। এর মধ্যে আটটি ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন জোভিচ। পুরো ম্যাচ খেলতে পেরেছেন মাত্র একবার।

রিয়ালে জোভিচ যে চাপের মধ্যে আছেন সেটা স্পষ্ট। জাতীয় দল সার্বিয়াতে থাকা তার সতীর্থ আলেক্সান্ডার মিত্রোভিচও তাই বললেন। আভাস দিলেন মৌসুম শেষে রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে পারেন জোভিচ। কিন্তু সার্বিয়ান স্ট্রাইকারকে ঠিকানা বদল না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মিত্রোভিচের বিশ্বাস রিয়ালেই ‍ধীরে ধীরে উন্নতি করবেন ২২নিশ ও জার্মান গণমাধ্যমের গুঞ্জন, নতুন মৌসুমে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ফরওয়ার্ড আর্লিং হাল্যান্ড কিংবা আর্সেনাল স্ট্রাইকার পিয়েরি-এমেরিক আউবামেয়াংকে নিয়ে আসতে পারে রিয়াল। দুজনের সঙ্গে নাকি যোগাযোগও করা হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে। এমন পরিস্থিতিতে জোভিচের পাশে দাঁড়ালেন মিত্রোভোচি। জানালেন সতীর্থের প্রতি তার আস্থার কথা।

মঙ্গলবার বুটাস্পোর্টকে সার্বিয়ান তারকা বলেছেন, ‘লুকা (জোভিচ) কিছুটা চাপে আছে। একজন স্ট্রাইকার হিসেবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মাঠে উপস্থিতি। কিন্তু আমার মনে হয় ও বেশি সময় মাঠে থাকতে পারেনি। তাই খুব বেশি সুয়োগও আসেনি। নিউক্যাসলে আমিও এই অবস্থায় পরেছিলাম। আপনাকে শুধু ১০, ১২, ২০ মিনিট সুযোগ দেওয়া হয়। যা খুব কঠিন।‘

মিত্রোভিচ যোগ করেন, ‘আসলে বড় ক্লাবের বৈশিষ্ট্য আলাদা। এখানে আপনি সুযোগ কম পাবেন। এর মধ্যে বুঝতে পারবেন না আপনার কী করা উচিত, কোনটা উচিত নয়। আমার মনে হয় তাকে আরো সুযোগ দেওয়া উচিত। দুই-তিনটা ম্যাচে পুরো সময় খেললেই গোল আসবে।’

‘এখন কঠিন অবস্থায় আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে এবং সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলা অনেক কঠিন। অনেক চাপ এবং দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হয়। কিন্তু লুকার বয়স বেশি না। ফুটবলে ওর জন্য আরো অনেক মৌসুম বাকি আছে।’