আপনি পড়ছেন

পৃথিবীর বুকে অতীতে যতগুলো মহামারি এসেছে সবগুলো ছিল এলাকা ভিত্তিক। কিন্তু করোনা ভাইরাস কেন সারা পৃথিবী ছড়িয়ে পড়ল? এর কারণ অনুসন্ধানে খুঁজে পেলাম, গত ১০০ বছরে মুসলমানরা কোরআন ছেড়ে দিয়েছে। এশিয়া কিংবা ইউরোপ মুসলিমরা আজ অবহেলিত। মুসলমানদের আর্তনাদ আর বাঁচাও বাঁচাও করুন চিৎকার শোনেও মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানরা ক্ষমতার লোভে বনে গেছে জালেমদের বন্ধুশক্তি।

shaban month preperation ramzan

ইউরোপ সাম্রাজ্য হয়ে গেছে বেহায়াপনার লীলাভূমি। এভাবে মানুষ যখন সীমালঙ্ঘন করতে থাকল, তখনই পৃথিবীর বুকে করোনাভাইরাস নামক এক আজাব এসে হানা দিয়েছে। 

মুসলমানরা কোরআনের কিছু কিছু আদেশ মেনে চলছে। কিন্তু মূল তিনটি জিনিস তারা ছেড়ে দিয়েছে।

১. আল্লাহ সতর্ক করে বলেছিলেন, হে মুসলমান! তোমরা কখনো পরস্পর বিচ্ছিন্ন হইও না। যদি দলাদলি না করো তাহলে পৃথিবীর কেউ তোমাদের পরাজিত করতে পারবে না।

২. তোমাদের মাঝে একটি দল গঠন করে নিতে হবে, যারা সবসময় সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করবে। তাহলে পৃথিবীতে কোনো অরাজকতা-হানাহানি দেখা যাবে না।

৩. আল্লাহ ও তাঁর রসুলের নিঃশর্ত আনুগত্য করতে হবে। শয়তানের অনসুরণ করো না। তাহলে খোদায়ী সাহায্য তোমাদের ভাগ্যে জুটবে না।

দলাদলি না করা, সৎ কাজের আদেশ ও অন্যায় কাজের নিষেধ করা এবং আল্লাহ ও আল্লার রাসুলের নিঃশর্ত আনুগত্য এ তিনটি জিনিস আজ মুসলমানদের মাঝে নেই বললেই চলে। অথচ মুসলমানদের শক্তির মূল ভিত্তিই হলো এগুলো। এই তিনটি যখন মুসলমানদের মাঝে পাওয়া যাবে তখনই মুসলমান প্রতি কদমে আল্লাহর সাহায্য পাবে।

আফসোস! আজ মুসলমান ইসলাম ও তাগুতের ধর্ম সব একাকার করে ফেলছে। তাদের ঈমানি শক্তি ঘুণে খেয়ে ফেলছে। এর মূল কারণ হলো লোভ। লোভে পড়ে ক্ষমতার লালসায় তাগুতের অনুসরণ করতে গিয়ে কোরআনকে তারা জীবনের বাইরে রেখে দিয়েছে। আজ সামান্য শাস্তিতেই দাম্ভিক পৃথিবীবাসী অসহায় হয়ে পড়ছে।

তাই পৃথিবীবাসীর উচিত এই ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র জীবাণু করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে উপদেশ গ্রহণ করা এবং পৃথিবী ভ্রমণ করে দেখা- কিভাবে আল্লাহ তাঁর সাম্রাজ্যকে সাজিয়েছেন। যারা এই সাম্রাজ্যের অধিপতি মহান আল্লাহ তায়ালার বিধান মেনে নেয়নি সে অবাধ্য জালেমদের পরিণতি কী করুণ হয়েছিল।

হজরত নূহ (আ.) এর কওমের প্লাবন, কওমে লুতের ডেড সি, হজরত দাউদ (আ.) এর কওমের বানর হওয়ার ইতিহাস, হযরত মুসা (আ.) এর কওমের পানিতে ডুবে মরার ইতিহাস থেকে পৃথিবাসীর শিক্ষা নিতে হবে। ফেরাউন, নমরুদ, কারুন, হামানসহ পৃথিবীতে কত ক্ষমতাধর এসেছে কেউই তাদের সাম্রাজ্য ধরে রাখতে পারেনি। সবাই অপমান হয়ে বিদায় নিয়েছে। পৃথিবীবাসীর উপদেশের জন্য মৃত ফেরাউনের লাশটাও আল্লাহ টিকিয়ে রেখেছেন; তবুও পৃথিবীর জালেমরা শিক্ষা নিচ্ছে না। বরং দিন দিন জুলুমের পরিমাণ বোড়েই চলছে।

এশিয়া আর ইউরোপে গত একশ বছরে কত মুসলমান নির্যাতনে স্বীকার হয়েছে! কত মুসলমান একটু বাঁচার জন্য সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে নদী আর সাগরে ডুবে মরেছে। কত কন্যা মায়ের সামনে কিংবা কত মা কন্যার সামনে ধর্ষণ হয়েছে; তখনতারা চিৎকার করে বলেছিলো বাঁচাও বাঁচাও। কোনো মানবতার ফেরিওয়ালা তখন এগিয়ে আসেনি। হয়ত তাদের ফরিয়াদের কারণেই পৃথিবীতে আছড়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস।

বিশ্বব্যাপী মানুষের নাফরমানিৎর কারণে এসেছে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস। এখন বাঁচার একটাই পথ। মহান আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে ক্ষমা চাওয়া। জুলুম ও নির্যাতন থেকে ফিরে আসা। দাম্ভিকতার পোষাক খুলে গলায় খোদার গোলামির মালা পড়া।

হে আল্লাহ! আমরা নাফরমান বান্দা। গোনাহর বোঝা নিয়ে তোমার কুদরতি পায়ে লুটিয়ে সেজদায় পড়ছি, তুমি আমাদের ক্ষমা করে দাও। তুমি আমাদের রক্ষা করো হে প্রভু।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর