আপনি পড়ছেন

বছর ঘুরে আবার আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে রহমত বরকত মাগফিরাতের মাস মাহে রমজান। বরকতময় এই মাস সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।’ সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৩।

ramadan 2

রমজানের চাঁদ দেখে রাসুল (সা.) যে কথাগুলো বলেছিলেন, হাদিসের পাতায় তা সোনালি অক্ষরে লেখা আছে।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসুল (সা.) রমজানের চাঁদ দেখার পর আমাদের বলেন, ‘তোমাদের কাছে রমজান মাস তথা বরকতময় মাস এসেছে। রমজানের রোজা আল্লাহ তোমাদের উপর ফরজ করেছেন। রমজানে আসমানের দরজাগুলো খোলা হয় এবং দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। অবাধ্য শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়। আল্লাহর বিশেষ রহমতের জন্য এ মাসে এমন একটি রাত আছে, যা হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। যে ব্যক্তি সে রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হবে, সে সব ধরনের কল্যাণ থেকেই মাহরুম থাকল।’ বুখারি।

সাওম বা রোজা পালনের মাধ্যমে মুমিন বান্দা ‘তাকওয়া’ অর্জন করতে পারে। আর তাকওয়া বান্দাকে আল্লাহর কাছাকাছি নিয়ে যায়। অন্যসব মাসের মধ্যে রমজান মাস একটি বরকতময় ও মর্যাদাপূর্ণ মাস। এ মাসে বান্দার সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।

দ্বিতীয় হিজরীর শা’বান মাসে রোজা ফরজ করা হয়। হযরত আদম (আ.) থেকে ঈসা (আ.) পর্যন্ত সব উম্মতের জন্য রোজা রাখার নির্দেশ ছিল। উম্মতে মুহাম্মাদিকেও সে নির্দেশই দেয়া হয়েছে। তাফসিরে ইবনে কাসির।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সুস্থভাবে মাহে রমজানের সবগুলো রোজা আদায় এবং তারাবিসহ সব ইবাদত পালনের তাওফিক দিন।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর