ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আজ সৌদিতে রোজা

ইতিহাসের এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আজ সৌদি আরবসহ অত্র অঞ্চলে পবিত্র রমজান শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা দিয়েছে যে, শুক্রবার দেশটিতে প্রথম রোজা হবে।

যে কাবাঘর সব সময় লোকে লোকারণ্য থাকে, সেই কাবা এবার রমজানেও ফাঁকা থাকবে

এমন এক সময় ১৪৪১ হিজরি সনের রমজান মাস শুরু হচ্ছে যখন মরণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে আছে। দেশে দেশে কারফিউ, লকডাউন ও নানা বিধি-নিষেধ জারি আছে। মসজিদগুলো খালি পড়ে আছে।

এমন এক প্রেক্ষাপটে রোজা শুরু হচ্ছে যখন পবিত্র কাবা ও মসজিদে নববিতে নেই জনসমাগম। প্রতি বছর যেখানে মুসল্লির ভিড়ে সরগরম থাকতো পবিত্র দুটি ঘর, সেখানে এ বছর দেখা যাবে না মুসল্লির ঢল। হবে না সাড়ম্বরে ইফতার কিংবা সেহরি।

প্রতি বছর যারা পবিত্র মসজিদে ইফতার করতেন কিংবা তারাবি পড়তেন, তারা এ বছর দূর থেকে শুধু দেখবেন, যারা বেশি দূরে তারা কল্পনা করবেন, আর বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠবে। নিজের অজান্তে অশ্রু বেয়ে নাকের ডগার গোড়া দিয়ে পড়বে পানি। কিন্তু কিছুই করার নেই। ঈমানদার মাত্রই সবর করতে হবে। কারণ এও তো মহান আল্লাহর পরীক্ষা।

আরব নিউজ বলছে, যখন রোজা শুরু হচ্ছে তখন মক্কার কাবাঘর এবং মদিনার মসজিদে নববি কার্যত ফাঁকা। কারণ গোটা দেশের মানুষ কারফিউয়ের ভেতরে আছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এ কারফিউ জারি করা হয়েছে।

তবে লোকজন যাতে রোজা রাখার জন্য নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারে সেজন্য লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আরব নিউজ। অর্থাৎ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর রমজান মাসে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ লাখ লোক পবিত্র কাবা ও মসজিদে নববিতে আসেন। ভরপুর হয়ে যায় দুটি পবিত্র স্থান। কিন্তু কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ঠেকাতে সৌদি কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ দিক থেকে হজসহ যাবতীয় পর্যটক আসা নিষিদ্ধ করেছে।

পবিত্র রমজান মাসে এবার তারাবিও সেভাবে অনুষ্ঠিত হবে সৌদি আরবে। প্রথমে কর্তৃপক্ষ তারাবি মসজিদে পড়া নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু পরে সামান্য কয়েকজনের উপস্থিতিতে সীমিত পরিসরে তারাবি পড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।