আপনি পড়ছেন

সুদীর্ঘ আট বছর পর ইতালি সরকার দেশটির অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তের দপ্তরে এ বিষয়ে একটি খসড়া পৌঁছেছে। তবে সব নির্ভর করছে ইতালিয়ান পার্লামেন্টের ওপর।

bd and italy flagবাংলাদেশ ও ইতালির পতাকা

জানা যায়, এ মুহূর্তে ইতালিতে ছয় লাখ অভিবাসীর বসবাস। এদের মধ্যে প্রায় ১২ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন। পার্লামেন্টে যদি আইন পাস হয় তাহলে বাংলাদেশি অভিবাসীরা বৈধতা পাবে।

বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জানা গেছে, সিজনাল ভিসা বন্ধ থাকায় স্বল্পমেয়াদে কোনো শ্রমিক আসতে পারছে না। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ইতালির কৃষি খাতে ব্যাপক সংকট তৈরি হবে। অথচ ইউরোপের ৪০ শতাংশ খাদ্যই সরবরাহ করা হয় ইতালি থেকে।

অবৈধতা থেকে বৈধতা পাওয়ার তথ্য পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের।

তবে ইতালি সরকার কর্তৃক তারাই বৈধতা পাবেন যারা কেবল কৃষিকাজ, গবাদিপশুর খামার এবং মৎস্য খামারে কাজ করতে পারবেন। ঢালাওভাবে অভিবাসীদের বৈধতা দেয়ার কথা বলা হয়নি। অবশ্য অতীতের রেকর্ড বলছে, ইতালি সরকারের পক্ষ থেকে সব বিভাগের অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেয়া হয়েছে।

lockdown in romeলকডাউনে ফাঁকা রোম

অনেক বিশ্লেষকই মনে করেন, ইতালির বর্তমান স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, আর্থিক স্বার্থ, সর্বোপরি মানবিক দিক বিবেচনা করে সব অভিবাসীকেই বৈধতা দিতে পারে সরকার।

এ বিষয়ে ইতালির বিশিষ্ট সামাজিক ব্যক্তিত্ব মোহাম্মাদ মোক্তার হোসেন বলেন, ইতালি সরকার দুই কারণে অভিবাসীদের বৈধতা দিচ্ছে।

এক. কৃষি খাতে ব্যাপক শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। সিজনাল ভিসা বন্ধ তাই লোকবল বাড়ানোর অন্য কোনো সুযোগও নেই।

দ্বিতীয়ত. করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট ক্ষত সারিয়ে তুলতে সবাই সহায়তা করলেও অবৈধ অভিবাসীরা কিছুই করতে পারছে না। তাদের বৈধতা দিলে সরকারও কিছু লোকবল পাবে কাজে লাগানোর জন্য।