আপনি পড়ছেন

হে পৃথিবীর বিশ্বাসী বান্দাগণ! পৃথিবীর এমন গভীর বেদনাপূর্ণ সময়ে আমরা সিয়াম সাধনার দুটি দিন অতিবাহিত করে এখন তৃতীয় রোজা পালন করছি। আল্লাহর ইচ্ছায় বাকি রোজাগুলোও সহি-সালামতে পালন করব। বান্দা যখন আত্মশুদ্ধির পথে হাঁটে, অন্যভাবে বলতে গেলে বান্দা সিয়াম সাধনায়রত থাকে তখন শয়তান নানাভাবে তার সাধনায় বাধা দিতে চেষ্টা করে। তাই একজন সায়েম অর্থাৎ সিয়াম সাধককে সব সময় সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। নতুবা একটু ভুলে একটু অবহেলায় সব পরিশ্রম পণ্ড হয়ে যাবে। 

taraweeh namaz

হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে একটি হাদিসে কুদসি বর্ণিত হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আদম সন্তানের প্রত্যেকটা কাজ তার নিজের জন্য। তবে রোজা ছাড়া। কেননা রোজা আমার জন্য এবং আমিই তার প্রতিদান দেবো। আর রোজা হচ্ছে ঢালের মতো। কাজেই কেউ যখন রোজা রাখে, তখন সে যেন কোনো অশ্লীল কথা না বলে এবং ঝগড়া-বিবাদ না করে। কেউ যদি তাকে গাল-মন্দ করে অথবা লড়াই করতে আসে, তবে সে যেন বলে, আমি রোজাদার।’ বুখারি ও মুসলিম।

মুসলিম শরিফের অন্য বর্ণনায় আছে, আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আদম সন্তানের সকল কাজের সওয়াব দশ গুণ থেকে সাত শত গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়, কিন্তু রোজার কথা ভিন্ন। কেননা রোজা আমারই জন্য এবং আমিই তার প্রতিদান দেবো।’ 

পবিত্র রমজান মাসে রোজাদারের জন্য মহান আল্লাহ তার রহমত এবং নিয়ামতের অফুরন্ত ভাণ্ডারের দরজা খুলে দেন। এ সময় প্রতিটি সিয়াম সাধকের একান্ত কর্তব্য হলো- প্রভুর এই অফুরন্ত ভাণ্ডার থেকে রহমত ও দয়া লুফে নেওয়া। যদিও সিয়াম সাধনা প্রত্যেক নবির উম্মতের ওপরই ফজর ছিলো তবে উম্মতে মুহাম্মাদি হওয়ার কারণে আল্লাহ পাক আমাদের বিশেষ কিছু সুবিধা দিয়েছেন।

হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলে পাক (সা.) বলেছেন, রমজান মাসে আমার উম্মতকে পাঁচটি বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়েছে, যা আমার পূর্ববর্তী কোনো নবি কিংবা নবির উম্মতকে দেয়া হয়নি।

প্রথমত, রমজানের প্রথম রাতে আল্লাহ তায়ালা যার দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন, তাকে কখনো শাস্তি দেন না।

দ্বিতীয়ত, সন্ধ্যার সময় তাদের মুখ থেকে যে দুর্গন্ধ বের হয়, তা আল্লাহ তায়ালার কাছে মেশকের সুগন্ধির চেয়েও উত্তম।

তৃতীয়ত, রমজানের প্রত্যেক দিন ও রাতে ফেরেশতারা রোজাদারদের জন্য দোয়া করে।

চতুর্থত, আল্লাহ তায়ালা তার বেহেশতকে বলেন, তুমি আমার বান্দার জন্য সুসজ্জিত ও প্রস্তুত হও। আমার বান্দারা অচিরেই দুনিয়ার দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি পেয়ে আমার বাড়িতে ও আমার সম্মানজনক আশ্রয়ে এসে বিশ্রাম নেবে।

পঞ্চমত, রমজানের শেষ রাতে আল্লহ তায়ালা তাদের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন।

এক ব্যক্তি বললো, এটা কি লাইলাতুল কদর? রসুল পাক (সা.) বললেন, না, তুমি দেখনি, শ্রমিকরা যখন কাজ শেষ করে, তখনই পারিশ্রমিক পায়। শুআবুল ইমান।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর