আপনি পড়ছেন

বিজ্ঞানের নিত্য নতুন আবিষ্কারে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী। আধুনিক বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার এ সময়ে অনেকেই ইসলামকে সেকেলে বলে এক ফু দিয়ে উড়িয়ে দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করেন। কিন্তু বিজ্ঞানের যতগুলো শাখা আছে, সবকটি মুসলমানদের হাত ধরেই শুরু হয়েছে। শুধু কি তাই? জ্ঞানের প্রসারে মুসলমানদের ধারে কাছেও নেই কোনো জাতি।

fatima

ধরা যাক পৃথিবীর প্রথম আনুষ্ঠানিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা, সেটা প্রতিষ্ঠা করেছেন মুসলমানরাই। আসুন সংক্ষেপে জেনে নেই মুসলমানদের বানানো পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে। 

পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হলো কারাওইন বিশ্ববিদ্যালয়। মুসলিম জ্ঞানুরাগী ফাতেমা আল-ফিহরি ৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে মরক্কোর ফেজ শহরে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। গিনেস বুকের রেকর্ড অনুসারে মরক্কোর ফেজ নগরীর এ বিশ্ববিদ্যালয়টিই পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠিত প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। গিনেস রেকর্ড বুকের ওয়েবসাইটেও এ তথ্যটি দেয়া আছে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য ভিজিট করতে পারেন http://www.guinnessworldrecords.com/world-records/oldest-university এই ঠিকানায়।

ইউনাইটেড ন্যাশনস এডুকেশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশনও (ইউনেস্কো) স্বীকৃতি দিয়েছে যে, বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে মুসলমানরা। A History of the University in Europe এর প্রথম ভলিউমে কারাওইন বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বলা হয়- এটি পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। নবম শতকের মাঝামাঝি সময়ে একজন মুসলিম নারী বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৬০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির একাদশ শততম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠিত হয় হয়। কারাওইন বিশ্ববিদ্যালয় ৮৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মসজিদের অংশ হিসেবে। ইতালির বোলোনায় (Bologna) যখন প্রথম ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়, তারও আগে কারাওইন হয়ে ওঠে দুনিয়াখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়। সুতরাং বলতে দ্বিধা নেই যে, ‘সভ্য দুনিয়া’কে লেখাপড়া শিখিয়েছেন মুসলমানরাই।

শুরুতে কারাওইন ছিল ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্র। পরে সেখানে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে অন্যান্য বিজ্ঞান পড়ানো শুরু হয়। অল্প সময়েই এর শিক্ষার্থীর সংখ্যা আট হাজারে পৌঁছে যায়। তারা সেখানে চিকিৎসাবিদ্যা থেকে শুরু করে ইতিহাস-ভূগোলসহ নানা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েন। ফেজকে তখন বলা হতো ‘পাশ্চাত্যের বাগদাদ’ বা ‘বাগদাদ অব দ্য ওয়েস্ট’।

আজ মুসলমানরা জ্ঞান-জ্ঞিান, শিক্ষা-আবিষ্কারে পিছিয়ে পড়েছে মূলত তাদের অতীত ভুলে যাওয়ার কারণে। তাই আসুন, আমরা আমাদের অতীতকে জানি। জাতির ইতিহাস না জানলে প্রকৃত মানুষ হওয়া যায় না। আল্লাহ আমাদের সেই বুঝ এবং ইতিহাস জেনে সত্যিকারের মুসলমান হওয়ার তওফিক দিন।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর