আপনি পড়ছেন

হাঁটি হাঁটি পায়ে আজ আমরা সপ্তম রোজায় এসে দাঁড়িয়েছি। মাহে রমজানের প্রথম দশক রহমতের আর মাত্র তিনটি দিন বাকি আছে। হে আল্লাহ! তুমি তো জানো পৃথিবীর মানুষ আজ কতটা বিপদের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। তুমি তো জানো মানুষ আজ কত বেশি অসহায়। পুরো পৃথিবী আজ তোমার রহমতের ভিখেরি। হে আল্লাহ! আমাদের একটু রহম করো। করোনা নামক মহামারি দিয়ে তুমি আমাদের ধ্বংস করে দিও না।

prayer

হাদিস শরিফে রাসুল (সা.) বলেছেন, মহামারি হলো আল্লাহ তায়ালার এক ধরনের আজাব। আল্লাহ কোনো প্রজন্মের ওপর রাগ হলে তাদের ওপর মহামারি চাপিয়ে দেন। হে আল্লাহ! আধুনিক এ সভ্যতার মানুষ আমরা। বিজ্ঞানের উৎসকর্ষতায় আমরা এমনই বেপরোয়া হয়ে উঠেছি যে, একদল মানুষতো তোমার অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলে বসেছে।

হে আল্লাহ! তোমাকে আর কী বলব। যারা তোমার শক্তি নিয়ে সন্দেহ করত, তোমার নিদর্শন নিয়ে হাসি তামাশায় মেতে ছিলো, তারা আর কেউ নয় মুসলমানেরই সন্তান। তাই কি তুমি আমাদের ওপর এত রাগ করেছো?

হে আল্লাহ! তোমার নাজিল করা সর্বশেষ মহা গ্রন্থ আল কোরআনের অনুসারী আমরা। কিন্তু হায়! আমরা না কোরআন নিয়ে গবেষণা করেছি, না কোরআন বোঝার চেষ্টা করেছি। আমরা নানান অজুহাতে কোরআন থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকেছি।

পুরো মুসলিম বিশ্বে কোরআনের সমঝদার হাতে গোনা এক দু’জন পাওয়া যেতে পারে। কোরআনের আধুনিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ক’জনই বা জানে। তুমিই তো পবিত্র কোরআনে বলেছে, অতীতে বহু প্রজন্মকে তুমি আজাব-গজব-মহামারি দিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছো শুধু তোমার নাজিল করা কিতাব গবেষণা না করার কারণে। তোমার নাজিল করা হেদায়াত অনুযায়ী জীবন পরিচালনা না করার জন্যে।

হে আল্লাহ! আমরা তো কোরআন পড়ি না। নয়ত কেনো গজব আসো, গজব আসলে কীভাবে তোমার কাছে সমর্পিত হতে হয় তা আমরা জানতাম।

হে পৃথিবীর মানুষ! হে বিশ্বাসী সম্প্রদায়! আমাদের আদি পিতা আদম এবং মা হাওয়া (আ.)কে যখন আল্লাহতায়ালা জান্নাত থেকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন তখন বলেছিলেন,

‘কুলনাহবিতু মিনহা জামিআ। ফাইম্মা ইয়াতিয়ান্নাকুম মিন্নি হুদান ফামান তাবিয়া হুদায়া ফালা খাওফুন আলাইুহম ওয়ালাহুম ইয়াজহানুন।’

অর্থ: তোমরা দুনিয়ার জীবনে ফিরে যাও। আমার পক্ষ থেকে যে হেদায়াত তোমাদের কাছে আসবে সে হেদায়াত মেনে জীবন পরিচালনা করলে তোমাদের কোনো ভয় নেই, চিন্তাও নেই।’

আজ বিশ্ববাসী যে ভয়ে মুষড়ে আছে, আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে গেছে এটার সমাধান একটাই। তাহলো জীবনের প্রতি পদক্ষেপে বিজ্ঞানময় কোরআনের নির্দেশগুলো মেনে চলা। জীবনের যেখানে যেখানে কোরআন বিরোধী আচরণ আছে, সমাজে ও রাষ্ট্রের যেখানে কোরআন বিরোধী কার্যক্রম আছে সেগুলো থেকে সচেতনভাবে ফিরে এসে কোরআনের আইন মত সমাজ-রাষ্ট্র পরিচালনা করা।

এভাবে কোরআনের কাছে আত্মসমর্পণ করতে পারলে আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালা আমাদের ক্ষমার চাদরে জড়িয়ে নেবেন। হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া আমাদের কোনো আশ্রয় নেই। তুমি ছাড়া আমাদের কোনো অভিভাবক নেই। তুমিই শ্রেষ্ঠ অভিভাবক এবং আশ্রয়দাতা।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর