আপনি পড়ছেন

বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে থমকে গেছে বিশ্ব। ব্যক্তি ও জাতির কল্যাণের লক্ষ্যে অনেক দেশের মতো আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের মসজিদেও চলছে বিধি-নিষেধ। গণজমায়েত এড়াতে জুমার নামাজে সর্বোচ্চ ১০ জন ও ওয়াক্তিয়া নামাজে সর্বোচ্চ পাঁচ জন মুসল্লির অংশগ্রহণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। ফলে সব মুসল্লি জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান না।

namaz 2

প্রশ্ন হলো- করোনায় লকডাউন থাকার কারণে পর পর তিন জুমা না পড়লে কি অন্তরে মোহর পড়ে যাবে? ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে?

তিন জুমা মসজিদে না গিয়ে ঘরে জোহর পড়লে কি মুনাফিক হয়ে যাবে? নাকি কাফের হবে? এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে আমাদের মাথায়। এ সম্পর্কে হাদিস কী বলে জানা যাক।

বিশ্বনবী (সা.) বলেন, ‘অবহেলা করে যে ব্যক্তি পর পর তিন জুমা ছেড়ে দিবে আল্লাহ তার অন্তরে গোমরাহির মোহর মেরে দেবেন। তিরমিজি, হাদিস নম্বর ৫০০; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নম্বর ১০৫২; নাসায়ী, হাদিস নম্বর ১৩৬৯; ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বর ১১২৬।

এ হাদিসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসরা বলেন, মূলত এ হাদিসে মহানবি (সা.) ইচ্ছাকৃত ও ওজরবিহীন অবহেলার অবস্থাকে শর্তারোপ করেছেন। হাদিসে এ কথা সুস্পষ্ট যে, কোনো সমস্যার কারণে যেমন করোনার কারণে বা অনিচ্ছাবশত জুমা ত্যাগ করলে তার অন্তর মোহরাঙ্কিত করা হবে না, সে দ্বীন থেকে দূরে সরে যাবে না, কাফের বা মুনাফিকও হয়ে যাবে না। আল্লামা তাকি উসমানি দরসে তিরমিজি; মোল্লা আলী কারি, মিরকাত, শরহে মিশকাত। 

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর