যেসব কারণে সালাতের জামাত ত্যাগ করা যায়
- Details
- by ইসলাম
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিশ্বের অনেক দেশে জামাতে নামাজসহ সব ধরনের গণজমায়েত বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। বাংলাদেশেও জুমা ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে মুসল্লি সংখ্যা সীমিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে করে প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে এবং জুমার নামাজে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক মুসল্লি জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে আসুন জেনে নেয়া যাক, কী কী কারণে শরিয়ত জুমা ও দৈনিক নামাজের জামাতের বিধান শিথিল করেছে।
শরিয়তে বিশেষ কিছু সমস্যার কারণে জামাত ত্যাগ করে বাসায় নামাজ আদায় বৈধ করা হয়েছে। শর্তগুলো হলো-
১. প্রবল বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, বন্যা ও প্রচণ্ড শীত। এসব অবস্থায় মসজিদে না গিয়ে ব্যক্তির ঘরের নামাজ আদায় বৈধ।
বিখ্যাত সাহাবি হজরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করিম (সা.) একদিন ঝড়বৃষ্টির দিনে মুয়াজ্জিনকে বললেন, তুমি আজানে শাহাদাত পাঠ করার পর ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ (নামাজের জন্য এসো) না বলে ‘সাল্লু ফি বুয়ুতিকুম’ (তোমরা তোমাদের ঘরে নামাজ আদায় করো) বলবে। তখন মানুষ ইতস্তত করতে লাগলো। তিনি তাদের ইতস্তত দূরীকরণে এও বলেন, যদিও জুমার নামাজ তোমাদের ওপর ফরজ। কিন্তু আমি চাই না যে, তোমরা কাদামাখা পিচ্ছিল রাস্তা দিয়ে মসজিদে এসো। মেশকাত শরিফ।
২. অসুস্থতা ও ভয়ের কারণেও মসজিদের জামাতে না গিয়ে ঘরে নামাজ আদায় বৈধ।
৩. হাদিস থেকে ফুকাহায়ে কেরাম আরও যেসকল কারণে জামাত ত্যাগ করে বাসায় নামাজ পড়ার অভিমত দিয়েছেন তা হলো- মুসাফির ব্যক্তি, রোগ বেড়ে সুস্থতা বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে, রোগ বৃদ্ধি পাবে বা নতুন করে আক্রমণ করবে এমন মনে হলে। করোনার অবস্থার সঙ্গে এসব শর্তের হুবহু মিল রয়েছে।
ছোঁয়াচে রোগ করোনাসহ বেশ কয়েকটি কারণেই জামাতে নামাজকে রহিত করে দেয়। প্রথমত. অসুস্থতার ভয়। দ্বিতীয়ত. রোগ ছড়ানোর ভয়সহ নানা কারণে ঘরে নামাজ আদায় করতে হচ্ছে। অতএব এটি দৃশ্যমান ওজর।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর