আপনি পড়ছেন

খেজুর বেশ পরিচিত এবং পুষ্টিকর একটি ফল। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বেশি পাওয়া যায়। এ ছাড়া তুরস্ক, ইরাক এবং উত্তর আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলের খেজুরের চাহিদাও রয়েছে প্রাচীনকাল থেকেই। বিশ্বের প্রায় সব মুসলমানের কাছে খেজুর একটি প্রিয় খাবার। বেজোড় সংখ্যক খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নাত। পবিত্র কুরআনেও অনেকবার খেজুরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

diet in ramadan

প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) এর প্রিয় ফল ছিল খেজুর। তিনি প্রায় দিনই সাতটি খেজুর দিয়ে সকালের নাশতা করতেন। রোজার সময় নবীজি (সা.) মাঝে মাঝে খেজুর দিয়ে সেহেরিও করতেন। সাহাবিদের খেজুর দিয়ে ইফতার করতে রাসুল (সা.) সব সময় উৎসাহিত করেছেন।

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। প্রতিদিন কেউ যদি দুটি করে খেজুর খায় তাহলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক গুণ বেড়ে যায়। পুষ্টিবিদরা মনে করেন, শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের অনেকটাই এই খেজুরে থাকে যা শরীরের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজন।

খেজুরে বিদ্যমান পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিংক ও অন্যান্য খনিজ লবণ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

রোজায় দীর্ঘ সময় খালি পেটে বা ড্রাই ফাস্টিং অবস্থায় থাকার কারণে দেহে প্রচুর গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা দেয়। খেজুর শরীরের এই প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।

এখন পবিত্র রমজান চলছে, আর সেজন্য আমাদের শরীরের বিভিন্ন ঘাটতি পূরণের জন্য সবার উচিত প্রতিদিন ইফতারে পরিমাণ মতো খেজুর খাওয়া।

লেখক: শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থী, দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর