১২ জুন থেকে মাঠে গড়াতে পারে লা লিগা

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কিছুটা হলেও কমে গেছে স্পেনে। এই সুযোগে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফুটবল লিগ লা লিগা মাঠে গড়াতে পারে জুন মাসের ১২ তারিখ থেকে। এমনই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন লা লিগার প্রেসিডেন্ট হ্যাভিয়ের তেবাস।

খেলা শুরুর আগে প্রতিটি খেলোয়াড়ের করোনাভাইরাস টেস্ট করা হবে। এবং সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে অনুশীলন আয়োজন করা হবে। এই সব পদক্ষেপের ফলে খেলার সময় খেলোয়াড়দের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নূন্যতম বলে মন্তব্য করেছেন হ্যাভিয়ের।

স্পেনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দুটি লিগের মোট পাঁচজন খেলোয়াড় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

গত সপ্তাহ থেকে লা লিগা কর্তৃপক্ষ খেলোয়াড়দের করোনাভাইরাস টেস্ট করা শুরু করেছে। এর মধ্যে কয়েকটি দলের খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনুশীলনও শুরু করেছেন। লা লিগা ফের শুরু হলে খেলা হবে দর্শকবিহীন মাঠে।

হ্যাভিয়ের বলেছেন, “আমরা আশা করছি লা লিগা পুনরায় শুরু হবে জুনের ১২ তারিখ থেকে।”

তিনি আরো বলেন, “কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সতর্কতা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করবে— যেমন ভাইরাসের আবার প্রাদুর্ভাব; যার জন্য অবশ্য ফুটবল নয়, দায়ী হতে পারে স্প্যানিশ সমাজ ব্যবস্থা।”

তিনি বলেন, “খেলার সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে নূন্যতম। কারণ খেলোয়াড়দের টেস্ট করা হবে।”

তেবাস আরো জানান, স্পেনের দ্বিতীয় সারির লিগ একই সময়ে শুরু হবে।

গত সপ্তাহ থেকে বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনুশীলন শুরু করেছে। সোমবার থেকে রিয়াল মাদ্রিদেরও অনুশীলন শুরু করার কথা রয়েছে।

যে পাঁচজন খেলোয়াড়ের করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছে, তারা আপাতত আইসোলেশনে আছেন বলে লা লিগার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

তাদেরকে নিয়মিত টেস্ট করা হবে। টানা কয়েকটি টেস্টে করোনাভাইরাসমুক্ত প্রমাণিত হলেই কেবল তারা খেলায় ফিরতে পারবেন।

তেবাস বলেছেন, “আমরা অন্তত ২৫-৩০ জনের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছিলাম। সে হিসেবে পাঁচজনের আক্রান্ত হওয়া ফুটবল অঙ্গনের জন্য কিছুটা হলেও আশার খবর।

রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক সার্জিও রামোস বলেছেন, “ফুটবল এবং খেলোয়াড়রা অর্থনীতি সচল করতে ভূমিকা রাখতে পারেন। আমাদের সবার এক সাথে বিপজ্জনক পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করা উচিত।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানি ফুটবল এখন মূল বিষয় নয়। কিন্তু ফুটবল বিপদগ্রস্ত লোকদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পারে।”

করোনাভাইরাসের কারণে যে সব দেশ মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছে, স্পেন তার মধ্যে একটি। দেশটিতে ১১ মে পর্যন্ত ২ লাখ ২৬ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২৬ হাজারের বেশি লোক।